বুধবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ সায়েদুর রহমান খান তাদের কারাগারে পাঠানোর
আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) শাহ আজিজুল হক।
আসামিদের জামিনের আবেদনের বিপক্ষে থাকা কৌঁসুলি হ আজিজুল হক জানান, পুলিশের
উপর হামলা এবং সংঘর্ষের অভিযোগে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।
“বিচারকের নির্দেশের পর বিকালে সবাইকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”
১০৯ জনের মধ্যে জেলা মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব শ্যামল মিল্কি, ইটনা উপজেলা
যুবদলের আহ্বায়ক আবেদ খান, রায়টুটি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক খান মিল্কি
এবং উপজেলা উলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা নাজিম উদ্দিন রয়েছেন।
এর আগে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিএনপির ১১২ জন নেতা-কর্মী আত্মসমর্পন করে
জামিনের আবেদন করেন। তাদের মধ্যে তিনজনকে জামিন দেন বিচারক।
জামিনপ্রাপ্ত রায়টুটি ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব আইনজীবী তানজির সিদ্দিকী
রিয়াদ বলেন, “গত ১৭ ডিসেম্বর ইউনিয়ন বিএনপির পূর্ব ঘোষিত সম্মেলন চলাকালে পুলিশ হঠাৎ
হামলা চালিয়ে বেধড়ক লাঠিপেটা করে পণ্ড করে দেয়। এ সময় দলের ২০ থেকে ৩০ জন নেতা-কর্মী
আহত হয়।”
এ ঘটনার দুই দিন পর ইটনা থানার বাদলা তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই তাওহিদ বিশ্বাস
বাদী হয়ে ১২০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
২৮ ডিসেম্বর এজাহারভুক্ত ১১২ জন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে আত্মসর্পন করে
ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন লাভ করেন এবং হাইকোর্টের নির্দেশনা মতে বুধবার কিশোরগঞ্জে জেলা
ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পন করেন বলেন তিনি।
আদালতে উপস্থিত জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল আলম বলেন, “সম্পূর্ণ
শান্তিপূর্ণ সমাবেশ চলাকালে পুলিশ এক তরফা হামলা চালিয়েছে এবং পরবর্তীতে হয়রানিমূলক
মিথ্যা মামলা করেছে। এটা অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং আমি তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
বিএনপির নেতা-কর্মীদের পক্ষে আমিনুল ইসলাম রতন, শরীফুল ইসলাম এবং আসাদ
রেজা জামিন আবেদন আইনজীবী হিসেবে শুনানি করেন।