ক্যাটাগরি

বার্সাকে কঠিন বাস্তবতা বুঝিয়েছে পিএসজি: কুমান

লা লিগায় দারুণ ছন্দে ছুটে চলা বার্সেলোনা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নকআউট পর্বের শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়েছে। শেষ ষোলোর প্রথম লেগে কাম্প নউয়ে মঙ্গলবার পিএসজির বিপক্ষে ৪-১ গোলে হারে বার্সেলোনা। সফরকারীদের একের পর এক আক্রমণের সামনে কাতালান দলটির রক্ষণ ছিল অসহায়। একাই তিন গোল করেন কিলিয়ান এমবাপে, বিজয়ীদের আরেক গোলদাতা মোইজে কিন।

ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় গত আসরে এক লেগের কোয়ার্টার-ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ৮-২ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার পর আবারও নকআউট পর্বের শুরুতেই প্রায় একই তিক্ত অভিজ্ঞতা হলো বার্সেলোনার। অথচ পিএসজির এই দলে চোটের কারণে ছিলেন না দুই তারকা খেলোয়াড় নেইমার ও আনহেল দি মারিয়া।

বায়ার্নের বিপক্ষে ঐতিহাসিক সেই হারের পর গত অগাস্টে কিকে সেতিয়েনের স্থলাভিষিক্ত হন কুমান। তখন থেকেই তিনি বলে আসছেন দলে থাকা ঘাটতিগুলোর কথা। পিএসজি ম্যাচ সেই ঘাটতিগুলোই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে বলে মনে করেন এই ডাচ কোচ।

“এটাই কঠিন বাস্তবতা…ম্যাচটি আমাদের দেখিয়েছে, শীর্ষ পর্যায়ের দল হতে আমাদের অনেক কিছুতে ঘাটতি রয়েছে। বিশেষ করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে যে মান থাকা দরকার।”

(বাঁ থেকে) পিএসজি কোচ মাওরিসিও পচেত্তিনো ও বার্সেলোনা কোচ রোনাল্ড কুমান।

(বাঁ থেকে) পিএসজি কোচ মাওরিসিও পচেত্তিনো ও বার্সেলোনা কোচ রোনাল্ড কুমান।

“স্কোরলাইন বলে দেয় তারা আমাদের চেয়ে কতটা এগিয়ে ছিল। মাঠে আমাদের চেয়ে অনেক বেশি প্রভাব তাদের ছিল।”

শুরুটা মন্দ ছিল না বার্সেলোনার। লিওনেল মেসির পেনাল্টি গোলে এগিয়ে গিয়েছিল তারা। সুযোগ হাতছাড়া আর রক্ষণের দুর্বলতাই হারের কারণ বলে মনে করেন কুমান।

“প্রথমার্ধের দুই দল ছিল প্রায় সমানে সমান। আমরা ১-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর উসমান (দেম্বেলে) ব্যবধান বাড়ানোরও সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের রক্ষণে সমস্যা ছিল অনেক। তারা দেখিয়েছে আমাদেরে চেয়ে তারা ছিল শারীরিকভাবে অনেক বেশি শক্তিশালী।”

মৌসুমের শুরু থেকে উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে গেলেও সাম্প্রতিক সময়ে বেশ ছন্দে ছিল কুমানের দল। লা লিগায় তারা জিতেছে টানা সাত ম্যাচ। সবশেষ ম্যাচে তারা আলাভেসকে উড়িয়ে দেয় ৫-১ গোলে। তবে পিএসজি তাদের বুঝিয়ে দিয়েছে এখনও অনেক দূর যাওয়া বাকি, বলেন কুমান।

“তারা দেখিয়েছে আমাদের চেয়ে তারা অনেক বেশি পরিণত। আমাদের এটা মানতেই হবে এবং উন্নতির চেষ্টা করতে হবে। আমরা জানতাম, শারীরিক সক্ষমতা ও অভিজ্ঞতার মিশেলে গড়া অসাধারণ একটা দলের বিপক্ষে এমন কিছু ঘটতে পারে।”

২০১৬-১৭ আসরে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে পিএসজির মাঠে ৪-০ গোলে হেরেছিল বার্সেলোনা। কিন্তু ফিরতি পর্বে কাম্প নউয়ে ৬-১ ব্যবধানে জিতে বিস্ময় উপহার দিয়েছিল সেই সময়ের লুইস এনরিকের দল।

প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে আগামী ১০ মার্চ আবারও তেমন কিছুই করতে হবে বার্সেলোনাকে। কিন্তু প্রতিপক্ষের মাঠে কাজটা করতে পারা যে অসম্ভবের কাছাকাছি তা মানছেন কুমান। তাই খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে দল আবারও প্রত্যাবর্তনের নতুন গল্প লিখবে, তেমন সম্ভাবনা দেখছেন না তিনি।

“আমি মিথ্যে বলতে পারি, কিন্তু ঘরের মাঠে ৪-১ গোলে হারের পর (টিকে থাকার) খুব কম সুযোগ থাকে।”