ক্যাটাগরি

লাইপজিগকে হারিয়ে শেষ আটের পথে লিভারপুল

বুদাপেস্টের পুসকাস অ্যারেনায় মঙ্গলবার রাতে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ২-০ ব্যবধানে জিতেছে ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা। একটি করে গোল করেন আক্রমণভাগের দুই তারকা মোহামেদ সালাহ ও সাদিও মানে।

ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিল মূলত লাইপজিগের রেড বুল অ্যারেনায়। কিন্তু নতুন করে করোনাভাইরাস জোরালো আঘাত হানায় ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশের নাগরিকদের প্রবেশে জার্মানি নিষেধাজ্ঞা জারি করায় ম্যাচটি হাঙ্গেরিতে সরিয়ে নেওয়া হয়।

দারুণ এক আক্রমণে পঞ্চম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো লাইপজিগ। কিন্তু ভাগ্যের ফেরে গোল পায়নি বুন্ডেসলিগায় দুইয়ে থাকা দলটি। বাঁ দিক থেকে আনহেলিনোর ক্রসে ডি-বক্সে দানি ওলমোর ডাইভিং হেডে বল পোস্টে লাগে।

প্রিমিয়ার লিগে ভীষণ বাজে সময়ের মধ্যে দিয়ে যাওয়া লিভারপুল প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ পায় চতুর্দশ মিনিটে। ট্রেন্ট অ্যালেকজ্যান্ডার-আর্নল্ডের পাসে বল পেয়ে ডি-বক্সে ঢুকে সালাহর নেওয়া শট রুখে দেন গোলরক্ষক। ১০ মিনিট পর রবের্তো ফিরমিনোর ক্রসে হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি মানে।

৩২তম মিনিটে পোস্ট ছেড়ে ডি-বক্সের বাইরে এসে লাইপজিগের গোলরক্ষক বল ক্লিয়ার করার পর পেয়ে যান অ্যান্ড্রু রবার্টসন। অনেকটা দূর থেকে ইংলিশ ডিফেন্ডারের নেওয়া শটে ক্রসবারের সামান্য ওপর দিয়ে যায় বল।

একটু পর মানের ক্রসে কাছ থেকে হেডে জালে বল পাঠিয়েছিলেন ফিরমিনো। তবে মানে বাইলাইনের বাইরে থেকে বল পাঠানোয় গোল মেলেনি।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দারুণ এক সেভ করে জাল অক্ষত রাখেন আলিসন। ওলমোর বাড়ানো বল ধরে ডি-বক্সে ঢুকে ক্রিস্তোফা এনকুনকুর নেওয়া শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক।

এর একটু পরই প্রতিপক্ষের সেই জোড়া ভুল।

৫৩তম মিনিটে লাইপজিগের মিডফিল্ডার মার্সেল সাবিতজারের ব্যাকপাসে বল পেয়ে ডি-বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন সালাহ। পরের গোলটিতে দায় ডিফেন্ডার নর্দি মুকিয়েলের। কার্টিস জোন্সের ক্রস ক্লিয়ার করার চেষ্টায় বলে পা-ই ছোঁয়াতে পারেননি তিনি, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যান মাটিতে। বল পেয়ে ডি-বক্সে ঢুকে লক্ষ্যভেদ করেন মানে।

দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে ব্যবধান কমানোর দারুণ একটি সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি লাইপজিগ।

প্রিমিয়ার লিগে শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে শেষ তিন ম্যাচে হেরে পয়েন্ট টেবিলে ছয় নম্বরে নেমে গেছে লিভারপুল। শীর্ষে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির চেয়ে পিছিয়ে পড়েছে ১৩ পয়েন্টে। এমন কঠিন সময়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এই জয় নিশ্চিতভাবে আত্মবিশ্বাস বাড়াবে লিভারপুল শিবিরে।