ক্যাটাগরি

সপ্তাহের ব্যবধানে দুটি প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখতে হবে বার্সাকে

আগামী ৩ মার্চ কোপা দেল রের সেমি-ফাইনালের ফিরতি লেগে ঘরের মাঠে সেভিয়ার মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা। ঘোচাতে হবে গত সপ্তাহে প্রথম লেগে প্রতিপক্ষের মাঠে ২-০ গোলে হারের ব্যবধান।

এর এক সপ্তাহ পর, ১০ মার্চ তাদের সামনে আরও কঠিন সমীকরণ মেলানোর চ্যালেঞ্জ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর ফিরতি লেগ খেলতে যাবে পিএসজির মাঠে। গত মঙ্গলবার কাম্প নউয়ে প্রথম লেগে তারা স্রেফ উড়ে গেছে, হেরেছে ৪-১ গোলে।

তাই এক সপ্তাহের ব্যবধানে, মানসম্পন্ন সব খেলোয়াড়ে সমৃদ্ধ দুটি দলের বিপক্ষে বার্সেলোনাকে জিততে হবে যথাক্রমে অন্তত ৩-০ ও ৪-০ গোলে।

কোপা দেল রে থেকেই এই মৌসুমে কোনো শিরোপা জয়ের সহজ পথ হিসেবে দেখছিল বার্সেলোনা। কুমান নিজেও তা বলেছেন। সেই পথও এখন হয়ে গেছে কঠিন।

হুলেন লোপেতেগির কোচিংয়ে দুর্বার গতিতে ছুটছে সেভিয়া। লা লিগায় বার্সেলোনার চেয়ে তারা পিছিয়ে আছে কেবল ১ পয়েন্টে। এই বছর ১৩ ম্যাচের মধ্যে জিতেছে তারা ১১টি। চলতি মৌসুমে দলটির বিপক্ষে ম্যাচে দুটির বেশি গোল করতে পেরেছে শুধু চেলসি; চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বে ৪-০ গোলে জিতেছিল ইংলিশ দলটি। 

পিএসজির বিপক্ষে সেখানে কাজটা আরও কঠিন। যদিও প্যারিসের দলটির বিপক্ষেই প্রত্যাবর্তনের দারুণ এক গল্প রয়েছে তাদের। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ২০১৬-১৭ আসরে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে পিএসজির মাঠে ৪-০ গোলে হেরেছিল বার্সেলোনা। কিন্তু ফিরতি পর্বে কাম্প নউয়ে ৬-১ ব্যবধানে জিতে কোয়ার্টার-ফাইনালে পা রেখেছিল তারা। তবে চার বছর আগে ফিরতি লেগ ঘরের মাঠে খেলার সুবিধা ছিল তাদের। এবার কাজটা করে দেখাতে হবে যে প্রতিপক্ষের মাঠে। 

সামনের ওই একটা সপ্তাহই তাই হয়তো নির্ধারণ করে দেবে বার্সেলোনার মৌসুমের গতিপথ। মাঝে লিগে তাদের খেলতে যেতে হবে ওসাসুনার মাঠে। সেখান থেকে তিন পয়েন্ট নিয়ে ফেরাও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।