দ্য পাইয়োনিয়ারের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, শিক্ষকরা আগামীতে সবার জন্য মিটিং বন্ধ করে দিতে পারবেন। এতে করে শিক্ষক চলে যাওয়ার পর শিক্ষার্থীরা কলে অপেক্ষা করতে পারবে না। এমনকি ব্রেকআউট রুমেও এটি করা সম্ভব হবে না।
এটি বাদেও শিক্ষকদের হাতে চলে আসবে ‘মিউট অল’ অপশন। চাইলেই সবাইকে মিউট করে দিয়ে ক্লাসের কাজ চালিয়ে নিতে পারবেন তিনি। “যদিও কোনো কোনো সময় কোনো বাধা ছাড়া পড়ানোটা জরুরি। তারপরও আসন্ন মাসগুলোতে কখন শিক্ষার্থীরা নিজেদের আনমিউট করবে মিটিং হোস্টরা চাইলে তা ঠিক করে দিতে পারবেন।” – বুধবার বলেছেন গুগল মিটের পণ্য ব্যবস্থাপক জেনিফার শেন।
যে সব শিক্ষক ট্যাবলেট বা মোবাইল থেকে শিক্ষাদান করেন, তারা আসন্ন মাসগুলোতে মডারেশন নিয়ন্ত্রণে প্রবেশাধিকার পাবেন। এর মাধ্যমে কারা মিটিংয়ে ঢুকছেন, বা কারা চ্যাট ব্যবহার করছেন বা স্ক্রিন শেয়ার করছেন, তা সরাসরি আইওএস এবং অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস থেকেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন শিক্ষক।
এ বছরের শেষ থেকে গুগল ক্লাসরুম এবং মিট আরও ভালোভাবে কাজ করবে। ডিফল্ট হিসেবেই ক্লাসরুম আরও নিরাপদ থাকবে। ক্লাসরুমের প্রত্যেক শিক্ষকই বাই ডিফল্ট মিটিং হোস্ট থাকবেন। যদি একাধিক শিক্ষক থাকেন, তাহলে তারা ক্লাস ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব ভাগ করে নিতে পারবেন।
এ ছাড়াও অ্যাডমিন কনসোলে নতুন সেটিংস নিয়ে আসবে গুগল। সেটির মাধ্যমে কারা ভিডিও কলে যোগ দিতে পারবে সে সম্পর্কিত নীতিমালা ঠিক করে দিতে পারবে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
আগামীতে মিটে ইমোজি ব্যবহার করে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানাতে পারবে শিক্ষার্থীরা। কখন ইমোজি ব্যবহার করা যাবে – সে নিয়ন্ত্রণও শিক্ষক এবং অ্যাডমিনদের হাতে থাকবে।
আগামীতে মিটিং প্রতিলিপি পাওয়া যাবে বলেও জানিয়েছে গুগল।