বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে উত্তর পাহাড়তলির ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিমের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করে পাহাড়তলি থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরুল আবছার মিয়া।
বিপরীতে কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিম তার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ তার সমর্থকদের ওপর পাল্টা হামলার অভিযোগ করেছেন।
লিখিত বক্তব্যে নূরুল আবছার বলেন, তার সমর্থকদের সমুচিত জবাব দেবেন বলে ২৮ জানুয়ারি এক সমাবেশে জহুরুল আলম জসিম হুমকি দেন।
“ওই হুমকির পরই জসিমের অনুসারীরা ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩ নম্বর ঝিল পাড় এলাকায় ইউনুছ মুন্সিকে হাত-পা ভেঙে দেয় এবং ১৭ ফেব্রুয়ারি শিরিন বেগমকে মারধর করে।”
জহুরুল আলম জসিম পাহাড়তলি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক। ২০১৫ সালে তিনি কাউন্সিলর পদে প্রথমবার নির্বাচিত হন।
তবে হামলার বিষয়ে জহুরুল আলম জসিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম বলেন, “আমিও শুনেছি। যিনি হামলার শিকার হয়েছেন তিনি একসময় বিএনপি করতেন। এলাকার বিষয় নিয়ে হয়েছে। যারা হামলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।”
দলীয় নেতাকর্মীদের হুমকি দেওয়ার বিষয়ে জসিম বলেন, বরং নির্বাচনে পর আমার ১৯ জন কর্মীকে হামলা করা হয়েছে।”
২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ভোট গ্রহণের দিন ফিরোজ শাহ কলোনি ও বিশ্ব কলোনি এলাকায় দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার গুজব ছড়িয়ে পড়লে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ শুরু হয়। এক পর্যায়ে জহুরুল আলম জসিমকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। এসময় পুলিশের গাড়িও ভাংচুর করা হয়। ভোটগ্রহণ শেষে জসিমকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।