চেন্নাইয়ে বৃহস্পতিবার নিলামে
পাঞ্জাব কিংসের সঙ্গে বেশ কয়েক ধাপ লড়াইয়ের পর সাকিবকে পায় কলকাতা। ২ কোটি ভিত্তিমূল্যের
অলরাউন্ডারকে ৩ কোটি ২০ লাখ রুপিতে নিতে সক্ষম হয় তারা।
আইপিএলে সাকিবের প্রথম দল
ছিল কলকাতা। ২০১১ থেকে টানা সাত মৌসুমের ছয়টিতে খেলেছিলেন এই দলে। কলকাতার দুটি শিরোপা
জয়ের অংশ ছিলেন তিনি।
এসব মনে করেই কলকাতা নাইট
রাইডার্সের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এদিন ভিডিও বার্তা দিয়ে সাকিব প্রকাশ করেন তার অনুভূতি।
“এ
বছর কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলতে পারব এজন্য খুব রোমাঞ্চিত। তেমনই ফল বয়ে আনার
চেষ্টা করব যেভাবে ২০১২ ও ২০১৪ সালে আমরা করেছি। দুটি চ্যাম্পিয়নশিপ আমরা একসাথে জিতেছি।
কলকাতার হয়ে খেলার জন্য মুখিয়ে আছি।”
২০০৯ সালে প্রথম আইপিএলে
নাম দিলেও দল পাননি সাকিব। পরে ২০১১ আসরের আগে তাকে ৪ লাখ ২৫ হাজার ডলারে দলে নেয় কলকাতা।
২০১৪ আইপিএলের আগে কলকাতা তাকে ধরে রাখে ২ কোটি ৮০ লাখ রুপিতে।
মাঝে দলটির সঙ্গে তার সম্পর্ক
ছিন্ন হয়। তাদের হয়ে ৭ মৌসুমে ৬ বার অংশ নেওয়ার পর তাকে ছেড়ে দেয় দলটি। ২০১৮ আইপিএলের
আগে তাকে ২ কোটি রুপিতে দলে নেয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
হায়দরাবাদের হয়ে খেলেন তিনি
দুটি আসরে। নিষেধাজ্ঞার কারণে ছিলেন না গত আসরের নিলামে। এবার নিলামে ফিরে আগের পারিশ্রমিক
ছাড়িয়ে সাকিব ফিরলেন চেনা আঙিনায়।
দল পেলেও সাকিব এবারের আইপিএলে
কতটা খেলতে পারবেন, সেটি নিয়ে সংশয় আছে। এপ্রিলে শ্রীলঙ্কা সফরে যেতে পারে বাংলাদেশ,
মে মাসে লঙ্কানরা আসতে পারে বাংলাদেশে। সূচি যদিও এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এবারের আইপিএল
হতে পারে এপ্রিল-মে মাসেই।