এর মধ্যে বৃহস্পতিবার একদিনেই আড়াই লাখের বেশি মানুষ টিকা পেয়েছেন বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস (মেডিকেলে ইনফরমেশন সার্ভিসেস) বিভাগ জানিয়েছে।
এমআইএসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশে ১৮ লাখ ৪৮ হাজার ৩১৩ জন টিকা নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার টিকা নিয়েছেন ২ লাখ ৬১
হাজার ৯৪৫ জন।
এ পর্যন্ত যারা টিকা নিয়েছেন, তাদের মধ্যে ৫৩৭ জনের মধ্যে সামান্য
কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যাওয়ার তথ্য সরকারের কাছে এসেছে।
বাংলাদেশে দেওয়া হচ্ছে ভারতের সেরাম
ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা। সবাইকে এ টিকার
দুটি ডোজ নিতে হবে। টিকা নিতে আগ্রহী সবাইকে সরকারের সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনে
(www.surokkha.gov.bd) গিয়ে নিবন্ধন করে নিতে হচ্ছে।
গত ২৭ জানুয়ারি কুর্মিটোলা জেনারেল
হাসপাতালের একজন নার্সকে টিকা দিয়ে বাংলাদেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর পর ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় সারা দেশে
গণ টিকাদান।
শুক্রবার বাদে প্রতিদিন সকাল আটটা
বেলা আড়াইটা পর্যন্ত সারা দেশে নির্ধারিত
হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিবন্ধিতদের টিকা দেওয়া চলছে। যারা ইতোমধ্যে টিকার প্রথম
ডোজ পেয়েছেন, তাদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে ৮ সপ্তাহ পর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগরে
৪৬টি হাসপাতাল ও কেন্দ্রে মোট ৩২ হাজার ৪১২ জন টিকা নিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৪৫২ জন টিকা নিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে।
বিভাগভিত্তিক হিসাবে এদিন সবচেয়ে বেশি ৭৩ হাজার ৫১৪ জন টিকা নিয়েছেন ঢাকা বিভাগে। এছাড়া
ময়মনসিংহে ১১ হাজার ৯০১ জন, চট্টগ্রামে ৫৪ হাজার
৭৮৮ জন, রাজশাহীতে ৩২ হাজার ২২৪ জন, রংপুরে ২৫ হাজার ৫৭৯ জন, খুলনায় ৩৪ হাজার ১৯৫ জন, বরিশালে ১৪ হাজার ৪৪৪
জন এবং সিলেট বিভাগে ১৫ হাজার ৩০০ জন করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন।