বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীতে র্যাবের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাব-১১’র অধিনায়ক লে. কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম জানান, আগের রাত সোয়া ১২টায় শিমরাইল এলাকা থেকে ওই সাত ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন, বাবুল হোসেন (৩২), মো. সেলিম (৩২), রিপন ভূঁইয়া (২৬), রবিউল ইসলাম (২৬), আব্দুর রশিদ(৪৫), রফিকুল ইসলাম (৪০) এবং জাবেদ হোসেন (২৯)।
তাদের কাছ থেকে ম্যাগজিন ভর্তি ১টি বিদেশি পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলি, ৩টি চাপাতি, ১টি হাতুড়ি, ১টি কোরাবারি এবং ৪৪টি হাতবোমা উদ্ধার করা হয়।
র্যাব কর্মকর্তা জানান, গ্রেপ্তার আসামিরা একটি আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য। এ সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্র বড় বড় স্বর্ণের দোকান টার্গেট করে অতর্কিতে হামলা করে হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে অস্ত্র দেখিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে লুট করে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় সহযোগীদের নিয়ে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি করে আসছে। স্বর্ণের দোকান ডাকাতির জন্য তারা সন্ধ্যা থেকে দোকান বন্ধের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত সময়কে বেছে নেয়।
গত কয়েক বছরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় স্বর্ণের দোকানে ঘটে যাওয়া এ রকম বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর ডাকাতির সঙ্গে এই সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের সদস্যরা জড়িত ছিল।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রায় ২ মাস ধরে গোয়েন্দা নজরদারীতে রেখে এই ডাকাত দলকে শনাক্ত করা হয়েছে।
র্যাবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামিরা লক্ষীপুর জেলার সদর উপজেলার কলেজ রোড এলাকায় একটি স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার জন্য সংঘবদ্ধ হয়ে অবস্থান করছিলেন বলে স্বীকার করেছেন বলে জানান এ র্যাব কর্মকর্তা।
কয়েকদিন আগে হাতবোমা বানানোর সময় এই আন্তঃজেলা ডাকাত দলের প্রধান বাবুল হোসেনের পা বিস্ফোরণে পুড়ে যায়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।