বৃহস্পতিবার দুপুরে র্যাব-১৩ সদর কার্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর আব্দুল্লাহ আল মঈন হাসান প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, এ চক্রের হোতা আত্মগোপনে থাকা মামুন হাসান মালিককে ঢাকার সাভার থেকে বুধবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ অধিনায়ক আরও জানান, ২০২০ সালের নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রতারণার উদ্দেশ্যে মামুন হাসান মালিক ওরফে আদম সুফি সহযোগীদের নিয়ে নীলফামারী জেলার ডোমার থানার সাহাপাড়ায় প্রাক্তন কুইন্স কিন্ডার গার্ডেন স্কুল ঘরটি ভাড়া নেন।
এরপর এলাকার সহজ-সরল নারীদের টার্গেট করে ডোমার বাজার ভোগ্যপণ্য সমবায় সমিতির নামের লোভনীয় অফার দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়া শুরু করে চক্রটি।
এ সমবায় সমিতির মাধ্যমে কয়েকজন নারী সদস্য হয়ে প্রাথমিকভাবে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মূল টাকাসহ লভ্যাংশ পান।
এলাকার বেশিরভাগ নারী সহায় সম্বল বিক্রি করে এ সমিতির সদস্য হন। এভাবে সমবায় সমিতির নামে মাত্র দুই মাসে ছয় কোটি টাকা সংগ্রহ করে এ চক্র। এরপর টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে সমিতির অফিস বন্ধ করে পালিয়ে যান তারা।
টাকা উদ্ধার করতে না পারায় ভুক্তভোগী কয়েকজন নারীকে তাদের স্বামী তালাক দেওয়ার ঘটনাও ঘটে উল্লেখ তিনি আরও জানান, ‘এক মহিলা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।’
তিনি বলেন, গত ২০ ডিসেম্বর শতাধিক নারী এবং ওই কোম্পানির প্রায় শতাধিক নারী কর্মী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
এছাড়াও ২৪ জানুয়ারি নীলফামারী জেলার ডোমার থানা চারজনের নামে একটি প্রতারণা মামলা করে। র্যাব-১৩ নীলফামারী কোম্পানি কমান্ডার বরাবর একটি অভিযোগ করেন তারা।
“এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে র্যাব অনুসন্ধান ও তদন্ত পরিচালনা করে প্রতারণা চক্রের মূল হোতা মামুন হাসান মালিককে ঢাকার সাভারের কাছে এক আত্মীয়ের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে।”
তার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।