বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল সাড়ে
৪টা পর্যন্ত সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের উপ-পরিচালক আবুবকর সিদ্দিক
তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
আবুবকর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে
বলেন,
“জিজ্ঞাসাবাদে তিনি (মোস্তফা সারোয়ার) কেনাকাটায় অনিয়মে
হয়নি বলে দাবি করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তার কাছে তিনি লিখিত বক্তব্যও দিয়েছেন।”
এর আগে মঙ্গলবার একই অভিযোগে পরিবার
পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আরেক সাবেক ডিজি মোহাম্মদ ওয়াহিদ হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।
মামলার প্রধান আসামি আজিমপুর মাতৃসদনের
তত্ত্বাবধায়ক ডা. ইশরাত জাহানকেও গত ৮ ফেব্রুয়ারি
কমিশনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
দুদকের উপ-পরিচালক মো. আবুবকর সিদ্দিক
গত ১৫ ডিসেম্বর এই চার মামলা দায়ের
করেন। ১৭ জন চিকিৎসক এবং সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ৮ জনকে তাতে আসামি করা হয়। পরে তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাও জারি হয়।
আজিমপুর মাতৃসদন ও শিশুস্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধায়ক ইসরাত জাহান এই চার মামলাতেই আসামি।
অন্যরা হলেন- পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকা প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের সাবেক অধ্যক্ষ ও দরপত্র
মূল্যায়ন কমিটির সদস্য পারভীন হক চৌধুরী, মাতৃসদনের সাবেক সিনিয়র কনসালটেন্ট
ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্য মাহফুজা খাতুন, সাবেক সহকারী কো-অর্ডিনেটর (ট্রেইনিং অ্যান্ড রিসার্চ) ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্য চিন্ময় কান্তি দাস, সাবেক মেডিকেল অফিসার ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্য সাইফুল
ইসলাম,
মেডিকেল অফিসার (শিশু) ও বাজারদর যাচাই কমিটির সদস্য মাহফুজা
দিলারা আকতার।
এছাড়া মাতৃসদনের মেডিকেল অফিসার ও বাজারদর
যাচাই কমিটির সদস্য নাজরিনা বেগম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সদস্যসচিব-বাজারদর যাচাই কমিটি জহিরুল
ইসলাম,
পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকা প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও দরপত্র
মূল্যায়ন কমিটির সদস্য জেবুন্নেসা হোসেন, সিনিয়র কনসালট্যান্ট (গাইনি) ও বাজারদর যাচাই কমিটির সভাপতি রওশন হোসনে জাহান, মাতৃসদনের সাবেক সহকারী কো-অর্ডিনেটর (ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চ)
ও পরিবার পরিকল্পনার অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. লুৎফুল কবীর খান, মেডিকেল অফিসার ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্য রওশন জাহান, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক হালিমা খাতুন, মাতৃসদনের বিভাগীয় প্রধান (শিশু) ও বাজারদর যাচাই কমিটির সদস্য
মো. আমীর হোচাইন, সাবেক সমাজসেবা কর্মকর্তা
ও বাজারদর যাচাই কমিটির সদস্য মোছা. রইছা খাতুন ও সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান
এসব মামলার আসামি।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সহকারী
পরিচালক কাজী গোলাম আহসান, সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা
কর্মকর্তা মো. নাছির উদ্দিন, জুনিয়র কনসালট্যান্ট
(শিশু) নাদিরা আফরোজ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের
ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. নাছের উদ্দিন, সমাজসেবা কর্মকর্তা বিলকিস আক্তার, মেডিকেল অফিসার আলেয়া ফেরদৌসিকেও আসামি
করা হয়েছে এসব মামলায়।
ঠিকাদারদের মধ্যে আসামি হলেন- মনার্ক
এস্টাব্লিশমেন্টের মালিক মো. ফাতে নূর ইসলাম, মেসার্স নাফিসা বিজনেস কর্নারের মালিক শেখ ইদ্রিস উদ্দিন (চঞ্চল), সান্ত্বনা ট্রেডার্সের মালিক নিজামুর রহমান চৌধুরী।
২০১৪-১৫ থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছর পর্যন্ত
চার অর্থবছরের কেনাকাটায় অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের পর ‘সত্যতা’ পাওয়ার কথা জানিয়ে
মামলাগুলো দায়ের করে দুদক।
ওই সময়ে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের
ডিজির দায়িত্বে ছিলেন মোহাম্মদ ওয়াহিদ হোসেন ও কাজী মোস্তফা সারোয়ার।