বৃহস্পতিবার বিকালে বরিশাল নগরীর জিলা স্কুল মাঠে ‘নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে’ বিএনপির বিভাগীয় বিক্ষোভ সমাবেশে এ ঘটনা ঘটে।
বরিশাল মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক তারিন বলেন, ছাত্রদলের কর্মীদের মাঝে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। তবে নেতৃবৃন্দের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সমাবেশ স্থলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউল করিম রনি এবং সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়ায়। তারা একে অপরকে লক্ষ্য করে চেয়ার ছুঁড়ে মারে।
সে সময় আতঙ্কে অনেককেই সমাবেশ স্থল ছেড়ে সরে পড়তে দেখা যায়।
সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “নিজেদের মধ্যে মারামারি না করে, যারা বিএনপি নেতা-কর্মীদের অন্যায়ভাবে হেনস্থা করছে, তাদের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।”
দেশে নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার দাবি করে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “বিগত ৩টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি নিজের ভোট দিতে পারিনি।”
সমাবেশের সভাপতি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, “সরকার নিশি ভোটের মাধ্যমে তাদের (বিএনপির) বিজয় ছিনিয়ে নিচ্ছে। দেশে সঠিক নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হবে।”
বিভাগীয় বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশের সিটি কর্পোরেশনের বিগত নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীরা।
কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, আমরা পরাজিত ৫ মেয়র প্রার্থী [সিটি করপোরেশন নির্বাচনে] দেশের সব এলাকায় ঘুরে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বর্তমান সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হবে।
জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিল করা হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন বক্তারা।
তবে হট্টগোল নিয়ে মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউল করিম রনি এবং সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।