বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের বেঞ্চ বৃহস্পতিবার তাদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
জামিন পাওয়াদের মধ্যে ঢাকার তিন মামলায় বিএনপির ৭৪ নেতাকর্মীকে ২১ মার্চ পর্যন্ত এবং রাজশাহীর তিন মামলায় ৭০ নেতাকর্মীকে চার সপ্তাহের জামিন দেওয়া হয়েছে বলে আসামি পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল জানিয়েছেন।
জামিনের মেয়াদ শেষে তাদের সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
আদালতে বিএনপি নেতাকর্মীদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন।
জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ এলাকা থেকে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় গত ১৩ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ ও রমনা থানায় পৃথক তিনটি মামলা হয়।
এসব মামলায় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী খান সফু, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৭৪ নেতাকর্মী হাই কোর্টে হাজির হয়ে আগাম জামিনের আবেদন করেন।
আর রাজশাহীর কয়েকটি পৌরসভা নির্বাচনে সহিংসতার অভিযোগে করা পৃথক তিনটি মামলায় রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদসহ রাজশাহীর ৭০ জন নেতাকর্মী হাই কোর্টে হাজির হয়ে আগাম জামিনের আবেদন করেন।
এসব মামলায় শুনানি শেষে আসামিদের জামিন দেয় আদালত।