মঙ্গলবার রাতে সিন্ডিকেটের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত নিবন্ধক ও সিন্ডিকেট সচিব রহিমা কানিজ জানান।
বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে সানওয়ার সিরাজকে অপসারণ করা হয়েছে। অফিস বন্ধ থাকায় অফিস আদেশ তার কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। পরবর্তী কার্যদিবসে তাকে বিষয়টি জানানো হবে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আর কোনো ধরনের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না।”
এদিকে সহকারী অধ্যাপক সানওয়ার সিরাজ বিকালে সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেছেন, যৌন হয়রানির ওই অভিযোগ ‘মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক’।
“আমার অপসারণের বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর থেকে জানতে পেরেছি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এখনও আমাকে জানানো হয়নি। সাবেক এক ছাত্রীর যৌন হয়রানির অভিযোগ ও পরীক্ষায় কম নম্বর দেওয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমাকে নাকি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অপসারণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিন্ডিকেট।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল ‘মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগের ভিত্তিতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে একপাক্ষিক প্রতিবেদন’ দিয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আমির হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, দুই উপ-উপাচার্য, নিবন্ধক সিন্ডিকেটের সদস্য। সিন্ডিকেট যৌক্তিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে।”