শুক্রবার চট্টগ্রামে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগের পাশাপাশি অবিলম্বে আসলামের মুক্তি দাবি করেন স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
আমীর খসরু বলেন, আসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের পর বিভিন্ন সময়ে রিমান্ডে নিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার আসামি করা হয়। এরপর তিনি ছয় মাসের মধ্যেই জামিন পান। কিন্তু তাকে মুক্তি না দিয়ে একশরও বেশি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
“জামিন নিতে গেলে সরকার বারবার সময়ের আবেদন করে। এর অর্থ হচ্ছে তাকে জেলে আটকে রাখা। এভাবে শুধু সময়ের আবেদন করে আসলাম চৌধুরীকে অন্যায়ভাবে পাঁচ বছর ধরে জেলে আটকে রাখা হয়েছে।’’
২০১৬ সালের ১৫ মে ঢাকার খিলখেত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির তৎকালীন আহবায়ক আসলাম চৌধুরী। ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্টের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ‘বাংলাদেশের সরকার উৎখাত ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
আমীর খসরু বলেন, সে পাঁচবছর ধরে জেলে আছে, যদিও কোনো মামলায় তার সাজা হয়নি। কিন্তু জেল আইনে সে কিন্তু ছয় বছর সাজা ইতোমধ্যে ভোগ করে ফেলেছে- এটা তো আইনের শাসন না। তার যদি সাজাও হত, তাহলেও তো তাকে এতদিন কারাগারে থাকতে হতো না।
চট্টগ্রাম উত্তরজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আসলাম চৌধুরীর মুক্তির দাবিতে কোনো আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “দেশব্যাপী কর্মসূচি শুরু হয়ে গেছে। জেলায় জেলায় তো আমরা কর্মসূচি শুরু করে দিয়েছি।
“দিনক্ষণ বলে আন্দোলন হবে না। যখন যা প্রয়োজন আমরা সময়মতো করব। রাজনৈতিক দল আর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই এক না।”
শুক্রবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান ও মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ সেখানে ছিলেন।