বৃহস্পতিবার টাইগারপাসে সিটি করপোরেশনের অস্থায়ী কার্যালয়ে প্রকৌশলীদের সাথে এক বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মেয়র রেজাউল বলেন, “চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের একসময় সুনাম ছিল। এখন দুর্নাম বেশি।
এই দুর্নাম ঘুচাতে হবে। প্রকৌশলীরা পরস্পর দলাদলি না করে আন্তরিকভাবে সততার সাথে কাজ
করুন।
“আমি-আপনারা সবাই একটা পরিবার। কাজেই
মিলেমিশে গুণগতমান বজায় রেখে ঠিকাদারদের কাছ থেকে
কাজ আদায় করুন। কাজের কোয়ালিটিতে কোনো ছাড়
দেবেন না আপনারা। এটা আমার নির্দেশ।”
নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ১৯৯৫ সনের মাস্টার
প্ল্যান অনুযায়ী এখনো কেন বহদ্দারহাট বারইপাড়া থেকে বলিরহাট হয়ে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত
খালটি খনন করা গেল না তা জানতে চান মেয়র।
এর জবাবে প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তারা
জানান,
প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণে দেরি হচ্ছে।
ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের ব্যয় প্রায় এক হাজার ১১৯ কোটি টাকা। যা প্রকল্প
ব্যয়ের প্রায় ৯০ শতাংশ।
প্রকল্পটির বিপরীতে সরকারি (জিওবি) বরাদ্দ
হিসেবে প্রায় ৯১৫ কোটি টাকা ইতোমধ্যে পাওয়া গেছে, যার ৯১১ কোটি টাকা জেলা প্রশাসন তহবিলে জমা দেওয়া হয়েছে
ভূমি অধিগ্রহণের জন্য।
কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণ খাতেই ২০৮ কোটি টাকা এবং ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে প্রায় ৯৭ কোটি টাকা
অর্থ্যাৎ ৩০৪ কোটি টাকা সিটি কর্পোরেশন তহবিল থেকে ব্যয় করতে হবে। কিন্তু বর্তমানে কর্পোরেশনের সেই সক্ষমতা নাই।
এছাড়া প্রকল্পের কাজ শুরু করতে ম্যাচিং
ফান্ডের যে টাকা দেওয়া প্রয়োজন তাও নেই বলে সভায় জানানো হয়।
প্রকল্পটি সংশোধনে প্রস্তাব পাঠানোর
পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের একটি দল প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে গেছেন বলে মেয়রকে জানান সিটি করপোরেশনের প্রধান
নির্বাহী কর্মকর্তা।
সভায় মেয়র রেজাউল তার ১০০ দিনের কর্ম
পরিকল্পনা, নতুন নগর ভবন নির্মাণে প্রতিবন্ধকতা, টাইগারপাস অফিসে পার্কিং না থাকার বিষয়ে কর্মকর্তাদের মতামত নেন।
সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা
কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, প্রধান প্রকৌশলী লেফটেন্যান্ট কর্নেল সোহেল
আহম্মেদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম
মানিক,
তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন, আবু ছালেহ, মনিরুল হুদা, কামরুল ইসলামসহ প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।