সাকিবকে ছুটি দেওয়ার পর আইপিএলে দল পাওয়া বাংলাদেশের আরেক ক্রিকেটার মুস্তাফিজুর
রহমানকেও ছুটি দেওয়ার মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে বোর্ড। মুস্তাফিজ বা যে কেউ চাইলেই
ছুটি দেওয়া হবে।
জাতীয় দলের খেলার সময় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলার অনুমতি দেওয়া দেশের ক্রিকেটে
খুব ভালো দৃষ্টান্ত হচ্ছে না, অনুধাবন করছেন বিসিবি কর্তারা। তবে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা
বিভাগের প্রধান আকরাম খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানালেন, জোর করে কাউকে খেলাতে
চায় না বোর্ড।
“ সাকিব আমাদের চিঠি দিয়েছে, সে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে খেলতে
চায় না। আমরা মিটিং করেছি, অনেক আলোচনা হয়েছে এটা নিয়ে। লম্বা মিটিং হয়েছে। বোর্ড আগেও
নানা সময়ে নানাজনকে ছুটি দিয়েছে। তবে জাতীয় দলের খেলার সময় সাধারণত আমরা দিতে চাই না
ছুটি। কিন্তু আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হয়েছে, জোর করে কাউকে বাংলাদেশ দলে খেলা হবে না।”
“ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আমাদের টেস্ট সিরিজ ও আইপিএল একই সময়ে হবে। সাকিব
টেস্ট খেলতে চায় না এই সিরিজে। আমরা তাকে ছুটি দিয়েছি। অবশ্যই খুব ভালো উদাহরণ নয় এটি।
কিন্তু যেটা বললাম, অনিচ্ছুক কাউকে আমরা খেলাতে চাই না।”
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজ ও আইপিএল, কোনোটির সূচিই এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে
দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে এপ্রিলে বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়া অনেকটা নিশ্চিত।
মে মাসে শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশে আসবে তিন ম্যাচের
ওয়ানডে সিরিজ খেলতে। টেস্ট ম্যাচ দুটি আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ, ওয়ানডে তিনটি
আইসিসি ওয়ানডে লিগের। আইপিএলও এপ্রিল-মে মাসেই হবে, একরকম নিশ্চিত।
টেস্ট সিরিজে না খেললেও ওয়ানডে খেলবেন সাকিব, জানালেন আকরাম খান।
সাকিবকে ছুটি দেওয়ায় অন্যদের ক্ষেত্রেও সেই বাধ্যবাধকতা চলে আসছে বিসিবির।
আকরাম বললেন, বোর্ডের এখানে কিছু করার নেই।
“ অন্যদেরও ছুটি দেবে বোর্ড। যারা খেলতে চায় না, তাদের সবাইকেই দেবে। অনেক
কথা বলেছি এটা নিয়ে আমরা। সবশেষে বোর্ডের কথা, যে খেলতে না চায়, জোর করে তাকে নামানো
হবে না। মুস্তাফিজ চাইলে তাকেও ছুটি দেব, সবাইকে দেব, কিছু করার নেই।”
শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে নিউ জিল্যান্ড সফর থেকেও ছুটি পেয়েছেন সাকিব। তৃতীয়
সন্তান জন্মের সময় স্ত্রীর পাশে থাকার জন্য এই ছুটি। তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি
ম্যাচের সিরিজ খেলতে আগামী মঙ্গলবার নিউ জিল্যান্ড রওনা হওয়ার কথা বাংলাদেশ দলের। সাকিব
এর মধ্যেই চলে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রে।
১ বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার পর এই মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ
দিয়ে টেস্টে ফিরেছিলেন সাকিব। তবে চোটের কারণে তিনি মাঠ ছাড়েন সিরিজের প্রথম টেস্টের
মাঝপথেই। খেলতে পারেননি দ্বিতীয় টেস্টেও।
এবারই প্রথম নয়, এর আগে ২০১৭ সালেও টেস্ট ক্রিকেট থেকে ৬ মাসের বিরতি চেয়েছিলেন
সাকিব। সেবার বোর্ড তাকে পুরো ছুটি না দিলেও দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাননি তিনি।