সংগঠনের
সভাপতি জি এম হিরক
ও সাধারণ সম্পাদক জাবিদ হাসান ফাহিম বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে এ ‘ন্যক্কারজনক’ ঘটনার
নিন্দা জানান।
স্বাধীন
সাংবাদিকতার পথে প্রতিবন্ধকতা অপসারণে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে বিজেএসসির
বিবৃতিতে।
“সম্পূর্ণ
অযৌক্তিক ও হয়রানির উদ্দেশ্যে
বিডিনিউজের সম্পাদকসহ
চারজনকে মামলার হুমকি ও অনৈতিক চাপ
প্রয়োগ করা হচ্ছে; যা গণমাধ্যমের স্বাধীন
সাংবাদিকতাকে বাধাগ্রস্ত করার একটি কৌশল হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ জার্নালিজম স্টুডেন্টস কাউন্সিল।”
চাপে নত হব না:
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরের প্রধান সম্পাদক
সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধের চেষ্টা: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরের বিবৃতি
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে
প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ওই চাপের বিষয়গুলো
সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রিমিয়ার গ্রুপ অব কোম্পানিজের চেয়ারম্যান
সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. এইচ বি এম ইকবালের
বিরুদ্ধে গত দেড় দশকে
বিভিন্ন সময়ে যেসব মামলা হয়েছে, তার কার্যক্রম আর আদালতের আদেশ
নিয়ে অন্য সব সংবাদমাধ্যমের মত
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমেও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
সেসব মামলা থেকে তারা অব্যাহতিও পেয়েছেন। এখন, এতদিন পর, সেসব পুরনো খবর মুছে ফেলতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে অদ্ভুত কায়দায় চাপ দেওয়া হচ্ছে।
দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ইতোমধ্যে তিন ডজনের বেশি উকিল নোটিস পাঠানো হয়েছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জ্যেষ্ঠ চার সম্পাদকের নামে। সেখানে বলা হচ্ছে, ওই সব প্রতিবেদন
‘ডিলিট’ না করলে মামলা
করা হবে। মামলা হবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আর মানহানির অভিযোগে।
চাপের কাছে নতি স্বীকার না করার প্রত্যয়
জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেন, “বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের নিজস্ব কোনো অনুসন্ধান এসব প্রতিবেদনে নেই; সম্পূর্ণভাবে মামলার কার্যক্রম ও আদালতের আদেশই
সেখানে বস্তুনিষ্ঠভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। তাহলে কোন যুক্তিতে একটি সংবাদমাধ্যম এসব প্রতিবেদন সরিয়ে ফেলবে?
“আমাদের বার বার বলা হয়েছে, অন্যরাও নাকি এ বিষয়ে তাদের
প্রতিবেদন সরিয়ে ফেলেছে। বিভিন্নভাবে তদবির করানো হয়েছে প্রভাবশালীদের দিয়ে, যাদের মধ্যে গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিও আছেন। বলা হয়েছে, তারা সরিয়ে ফেলেছেন, আমরা কেন তা করছি না।
দীর্ঘদিন নানাভাবে চেষ্টার পরও প্রতিবেদন সরাতে রাজি করাতে না পেরে এখন
তারা চাপ দেওয়ার অদ্ভুত এক কৌশল নিয়েছেন।”
সাংবাদিকদের
পেশাগত দায়িত্ব পালনে প্রভাবশালী মহলের এই ‘অন্যায়’ চাপ এবং প্রতিবন্ধকতা রুখতে সরকারকে ‘যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার’ আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ জার্নালিজম স্টুডেন্টস কাউন্সিল।
জাবি প্রেসক্লাবের
নিন্দা
জাহাঙ্গীরনগর
বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবও এ ঘটনার নিন্দা
ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
জাবি প্রেসক্লাবের
সভাপতি হাসান তানভীর ও সাধারণ সম্পাদক
খলিলুর রহমান এক যৌথ বিবৃতিতে
বলেন, “পুরনো খবর মুছে ফেলতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জ্যেষ্ঠ চার সম্পাদককে অন্যায়ভাবে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। আমরা মনে করি সংবাদমাধ্যমের ওপর এরূপ হুমকি সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ
প্রকাশের অন্তরায়।
“ভারসাম্যপূর্ণ
সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থার জন্য সংবাদমাধ্যমের
স্বাধীনতা অপরিহার্য। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রভাবশালী মহল কর্তৃক গণমাধ্যমকর্মীদের উপর চাপ ও হুমকি প্রদানের
মাধ্যমে সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধের দুষ্ট পাঁয়তারা করা হচ্ছে। ক্ষমতা ও অর্থের জোরে
সত্যের কণ্ঠরোধের এ ঘৃণ্য চেষ্টা
কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
“আমরা
গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় এহেন হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে সরকারের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।”