২০ বছর বয়সী ওই তরুণী ৯ ফেব্রুয়ারি নেপিডোর বিক্ষোভে মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন; সেদিনের বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ জলকামান, রাবার বুলেট ও তাজা গুলি ছুড়েছিল।
খাইংয়ের আঘাতের সঙ্গে তাজা গুলির আঘাতের সামঞ্জস্য আছে বলে সেসময়ই বিভিন্ন মানবাধিকার গোষ্ঠী জানিয়েছিল।
শুক্রবার খাইংয়ের ভাই ইয়ে তুত অং টেলিফোনে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বোনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নোবেলজয়ী নেত্রী অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের প্রতিবাদে মিয়ানমারে গত দুই সপ্তাহ ধরেই টানা আন্দোলন চলছে।
বিবিসি জানিয়েছে, শুক্রবার স্থানীয় সময় নেপিডোর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খাইংয়ের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে।
তার শেষকৃত্য আয়োজনের দায়িত্বে থাকা কমিটির এক সদস্য বলেছেন, শেষকৃত্যের প্রস্তুতি চলছে, বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
“আমরা ন্যায় বিচার ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছি,” অন্য একটি বার্তা সংস্থাকে বলেছেন এক চিকিৎসক।
খাইংকে ‘নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে’ রাখার পর থেকে হাসপাতালটির কর্মীদেরকে ভয়াবহ চাপের মধ্যে থাকতে হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ইয়ে তুত অং রয়টার্সকে বলেছেন, “আমার বলার কিছু নেই এবং সত্যিই দুঃখিত,।”
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তারা এ ঘটনার তদন্ত করে দেখবে।
৯ ফেব্রুয়ারি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকে খাইং হাসপাতালে ‘লাইফ সাপোর্টে’ ছিল।
“উড়ে আসা একটি বস্তু মাথায় লাগার পর তার মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উল্লেখ করার মতো নষ্ট হয়েছে,” হাসপাতালের এক চিকিৎসককে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছিল হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনে।