প্রতিপক্ষের মাঠে
শনিবার ২-১ গোলে হেরেছে হান্স ফ্লিকের দল। দাইচি কামাদা ও আমিন ইউনেসের গোলে প্রথমার্ধে
এগিয়ে যায় ফ্রাঙ্কফুর্ট। পরে ব্যবধান কমান রবের্ত লেভানদোভস্কি।
লিগে এ নিয়ে টানা
দুই ম্যাচ জয়হীন রইল টানা আটবারের চ্যাম্পিয়নরা। গত সপ্তাহে ক্লাব বিশ্বকাপ জয়ের পর
সোমবার লিগে ঘরের মাঠে আর্মিনিয়ার বিপক্ষে ৩-৩ গোলে ড্র করে তারা।
গত অক্টোবরে দুই
দলের প্রথম দেখায় ঘরের মাঠে ৫-০ ব্যবধানে জেতে বায়ার্ন।
আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে
জমে ওঠা ম্যাচের দ্বাদশ মিনিটে এগিয়ে যায় ফ্র্যাঙ্কফুর্ট। সতীর্থের পাস পেয়ে ডি বক্স
থেকে ডান পায়ের নিচু শটে লক্ষ্যভেদ করেন জাপানি মিডফিল্ডার কামাদা।
প্রথমার্ধে দুই গোলে এগিয়ে ছিল আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট।
ম্যাচে ফেরার বদলে
৩১তম মিনিটে দ্বিতীয় গোল হজম করে বায়ার্ন। কামাদার পাসে বক্সের বাঁ প্রান্ত থেকে উচু
শটে বল জালে জড়ান ফরোয়ার্ড ইউনেস।
বিরতির আগে জশুয়া
কিমিচের শট ফিরিয়ে দেওয়ার পরপরই কিংসলে কোমানকেও রুখে দেন ফ্রাঙ্কফুর্ট গোলরক্ষক কেভিন
ট্রাপ। এরিক মাক্সিম চুপো-মোটিংয়ের ডান পায়ের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু
থেকে চাপ বাড়ানো সফরকারীরা দ্রুতই পেয়ে যায় জালের দেখা। ৫৩তম মিনিটে ডান প্রান্ত দিয়ে
বল নিয়ে দারুণভাবে এগিয়ে লেভানদোভস্কিকে আড়াআড়ি পাস দেন লেরয় সানে। কাছ থেকে সহজেই
ব্যবধান কমান পোলিশ স্ট্রাইকার। আসরে ২১ ম্যাচে তার গোল হলো ২৬টি।
বলের দখল রেখে আক্রমণে
ওঠার চেষ্টা করা সফরকারীরা মরিয়া চেষ্টা চালিয়েও আর জালের দেখা পায়নি। যোগ করা সময়ে
দারুণ সেভে ব্যবধান বাড়তে দেননি গোলরক্ষক মানুয়েল নয়ারও।
আসরে তৃতীয় হারের
স্বাদ পাওয়া বায়ার্ন ২২ ম্যাচে ১৫ জয় ও চার ড্রয়ে ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে। সমান
ম্যাচে ১১ জয় ও ৯ ড্রয়ে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে চারে ফ্র্যাঙ্কফুর্ট।