গ্রেপ্তার সাইফুলের
(২৭) বাড়ি মাদারীপুর বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাৎক্ষণিকভাবে তার বিষয়ে আর কোনো তথ্য পাওয়া
যায়নি।
সাইফুল কয়েকটি কোকের
বোতল টেপে মুড়িয়ে দোকানের বিক্রয়কর্মীদের ‘বোমা’ বলে ভয় দেখান বলে জানান পুলিশের মতিঝিল
বিভাগের উপকমিশনার সৈয়দ নূরুল ইসলাম।
শনিবার সন্ধ্যার পর
এই ঘটনার সময় পুরো মার্কেট এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে নিরাপত্তা
বেষ্টনী তৈরি করে বোমা সদৃশ বস্তুটি ঘিরে পরে তা ধ্বংস করে।
উপকমিশনার নূরুল বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সন্ধ্যা ৭টার দিকে বায়তুল মোকাররম মার্কেটের নিচতলায় প্যারাগন
জুয়েলার্স নামে একটি স্বর্ণের দোকানে ঢোকেন সাইফুল। কেনার কথা বলে হাতের বালাসহ কিছু স্বর্ণালঙ্কার দেখেন
তিনি। ফিরে আসবেন জানিয়ে চলে যান তিনি।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে
তিনি আবার ওই দোকানে ফিরে আসেন। কিছুক্ষণ অলঙ্কার দেখার পর দাম করার ফাঁকে সাইফুল তার
ব্যাগ থেকে বোমা সদৃশ বস্তুটি বের করে শো কেসের উপরে রাখেন। তখন দোকানের বিক্রয় প্রতিনিধিদের
মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
“সাইফুল তার ওই বস্তুটি
‘বোমা’ জানিয়ে স্বর্ণালঙ্কারগুলো নেওয়ার চেষ্টা করে। এই ঘটনায় হৈচৈ পড়ে যায় এবং অবস্থা
বেগতিক দেখে সে পালানোর চেষ্টা করলে দোকানদাররা তাকে ধরে ফেলেন,” বলেন পুলিশ কর্মকর্তা
নূরুল ইসলাম।
পরে পুলিশ এসে বোমা
সদৃশ বস্তুটির কাছ থেকে লোকজনকে সরিয়ে নিরাপত্তা বেস্টনী তৈরি করে। পুলিশের বোমা নিস্ক্রীয়কারী
দলকে ডেকে আনা হয়। রাত সোয়া ১০টার দিকে বোমা নিস্ক্রীয় দলের সদস্যরা এসে বস্তুটি নিরাপদ
দূরত্বে এনে তা নিস্ক্রিয় করে ফেলেন।
উপকমিশনার নূরুল ইসলাম
বলেন, “বস্তুটি আসলে বোমা ছিল না। ৩-৪টি ছোট প্লাস্টিকের কোকের বোতল একত্রিত করে টেপ
দিয়ে মুড়িয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। গ্রেপ্তারের পর যুবকটি নিজেও স্বীকার করেছে, ওটি
বোমা ছিল না।”
ভয় দেখিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি
করে স্বর্ণালঙ্কার লুটে নিতে সাইফুল সেখানে ঢুকেছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, তার ব্যাগ
থেকে মরিচের গুঁড়োও উদ্ধার করা হয়েছে। যুবকটির বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।