শনিবার ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে টুঙ্গিপাড়া থানায় ধর্ষণ
মামলাটি করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতী ইউনিয়নের গওহরডাঙ্গা
গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে মিতুল হোসেন (২৩), টুঙ্গিপাড়া গ্রামের আনোয়ার উদ্দিন খানের
ছেলে রসুল খান (২৫), উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি শেখ শুকুর আহম্মেদের ছেলে
রাজিব শেখ (২২)।
টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি এএফএম নাসিম বলেন, মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা
করেছেন। মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
“আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”
ওই স্কুলছাত্রীর চাচা বলেন, “ধর্ষণের পর দুই দিন মেয়েটি অজ্ঞান থাকায় অসুস্থতার
কারণ জানতে পারিনি।
“পরে তার কাছ থেকে ধর্ষণের বিষয় জেনেছি। কিন্তু শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায়
তার সুস্থতা নিয়েই ভেবেছি। তাই মামলা করতে দেরি হয়েছে।”
মামলা বিবরণে জানা যায়, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকাল সাড়ে ৪টায় প্রতিদিনের মত
পাটগাতী গ্রামের সঞ্চরণ কোচিং সেন্টারে মেয়েটি পড়া শেষ করে বাসার ফিরছিলেন।
পথে নতুন বাজার বটতলা এলাকায় তার পথ রোধ করে এবং ইজিবাইক চালকের সহযোগিতায়
চোখ বেঁধে তাকে গোপন স্থানে নিয়ে যায় তিন যুবক।
প্রথমে চেতনা নাশক স্প্রে দিয়ে এবং পরে মেয়েটির মাথায় আঘাত করে তারা। মেয়েটি
জ্ঞান হারালে দল বেঁধে ধর্ষণ করে।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে মেয়েটিকে অচেতন অবস্থায় বাসার সামনে ফেলে রেখে যায়
তারা।
এ ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীকে তার পরিবারের লোকজন চিকিৎসার জন্য টুঙ্গিপাড়া
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে রাত ১০টায় কর্তব্যরত
চিকিৎসক তাকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন।
সেখানেও শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে পরদিন ১৫ ফেব্রুয়ারি তাকে উন্নত চিকিৎসার
জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় মেয়েটির পরিবার।