শুক্রবার টুইটারে পোস্ট করা একটি চিঠিতে হিনেস গনসালেস গারসিয়া তার পদত্যাগের কথা জানান।
চিঠিতে তিনি জানান, তিনি দূরে থাকাকালে তার দপ্তরের ‘অনিচ্ছাকৃত বিভ্রান্তির’ কারণে কিছু ব্যক্তি সঠিক প্রক্রিয়াকে পাশ কাটিয়ে টিকা নিতে সক্ষম হয়েছেন।
শুক্রবার সকালে দেশটির প্রেসিডেন্ট দপ্তরের দুই জন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ ছাড়াই অন্তত ১০ ব্যক্তি টিকা নিয়েছেন, গণমাধ্যমে এমন অভিযোগ আসার পর প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফের্নান্দেজ স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিনেসকে পদত্যাগ করতে বলেন।
এভাবে যারা টিকা নিয়েছেন তাদের মধ্যে আর্জেন্টিনার প্রবীণ সাংবাদিক হোরাকিও বার্ভিটস্কিও আছেন। তিনি দাবি করেছেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলার পর তিনি টিকার একটি ডোজ নিয়েছেন।
সত্তরোর্ধ বার্ভিটস্কি স্থানীয় এক রেডিওকে বলেছেন, “আমি আমার পুরনো বন্ধু হিনেস গনসালেস গারসিয়াকে ফোন করার পর তিনি আমাকে পোসাদাস হাসপাতালে যেতে বলেন।”
ফ্রন্টলাইন স্বাস্থ্য কর্মীদের রাশিয়ার স্পুৎনিক ভি টিকা দেওয়ার মাধ্যমে ডিসেম্বর থেকে টিকাদান কর্মসূচী শুরু করে আর্জেন্টিনা। কিন্তু প্রাথমিকভাবে যা ভাবা হয়েছিল সরবরাহ তার চেয়ে অনেক কম পাওয়ায় সংকট দেখা দেয়।
চলতি সপ্তাহে সত্তরোর্ধ কিছু লোককে টিকা দেওয়া শুরু করে দেশটি। নাম তালিকাভুক্ত করে প্রক্রিয়া অনুযায়ী টিকা নেওয়ার কথা থাকলেও অ্যাপয়েন্টমেন্ট সহজে পাওয়া যাচ্ছে না।
সরবরাহ কম হওয়ায় ল্যাতিন আমেরিকার অনেক অঞ্চলেই টিকা পাওয়া নিয়ে কেলেঙ্কারি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এই নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতির আশঙ্কাও করছেন অনেকে।
জাতীয় টিকাদান কর্মসূচী শুরু হওয়ার আগেই পেরুর কয়েকশত সরকারি কর্মকর্তা ও অন্যান্য ব্যক্তি টিকা নিয়ে নিয়েছেন, এমন খবর প্রকাশের পর চলতি মাসের প্রথমদিকে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদত্যাগ করেন আর সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্ত শুরু হয়।
বুধবার পর্যন্ত আর্জেন্টিনার প্রায় আড়াই লাখ লোক করোনাভাইরাস টিকার দুটি ডোজ গ্রহণ করেছেন।
দেশটিতে এ পর্যন্ত শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ২০ লাখেরও বেশি এবং এদের মধ্যে ৫১ হাজার জনের মৃত্যু হয়েছে।