চোটের জন্য এই মুহূর্তে দলের বাইরে আছেন রিয়ালের ৯ খেলোয়াড়।
গোড়ালির গাঁটের সমস্যায় ভুগছেন চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলে ১৭ গোল করা বেনজেমা।
তাকে ছাড়া লা লিগায় রোববার রিয়াল ভাইয়াদলিদের মাঠে ভুগতে
দেখা যায় রিয়ালের আক্রমণভাগকে। শেষ পর্যন্ত কাসেমিরোর হেডে ১-০ গোলের স্বস্তির জয় নিয়ে
ফেরে জিদানের দল।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে বুধবার আতালান্তার
বিপক্ষে দুই ফরোয়ার্ড এদেন আজার ও রদ্রিগোকেও পাচ্ছেন না জিদান। দলে প্রথাগত স্ট্রাইকার
কেবল মারিয়ানো দিয়াস।
চোটের জন্য দল সাজানো, সঠিক কম্বিনেশন পাওয়া হয়ে উঠেছে
জিদানের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তবে পরিস্থিতি যাই হোক, ভবিষ্যতের কথা ভেবে বেনজেমাকে নিয়ে
সাবধানী রিয়াল কোচ।
“বেনজেমাকে নিয়ে
আমরা কোনো রকম ঝুঁকি নেব না। কারণ, মৌসুমের এখনও অনেক পথ বাকি এবং বাকি রয়েছে অনেক
খেলা।”
“সুস্থ থাকলে আমাদের
সঙ্গে সফর করবে, না থাকলে নয়। আমরা কখনই ঝুঁকি নিই না। যদি এটা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের
ফাইনাল অথবা লিগে মৌসুমের শেষ ম্যাচ হতো, যেখানে শিরোপাও নির্ভর করছে তাহলে হয়তো নিতাম।”
সোমবার আরও একটি স্ক্যান করানোর পর বেনজেমার অবস্থা বোঝা
যাবে বলে জানান ফরাসি কোচ।
স্প্যানিশ পত্রিকা মার্কার তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে সব মিলিয়ে
রিয়ালে ৪১টি চোটের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া পাঁচ ফুটবলার নির্দিষ্ট সময় দলের বাইরে ছিলেন
কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়ে।
সব মিলিয়ে বিশজন খেলোয়াড় বিভিন্ন মেয়াদে ছিলেন দলের বাইরে,
মিলিতভাবে খেলতে পারেননি ১৪৬ ম্যাচ।
ভাইয়াদলিদের বিপক্ষে রিয়ালের মূল দলের খেলোয়াড় ছিলেন মাত্র
১২জন। বাকিদের নেওয়া হয় যুব দল থেকে। এদের মধ্যে ছিলেন দুই উঠতি তারকা উগো দুরো ও সের্হিও
আররিবাস। দুজনই নামেন বদলি হিসেবে।
মৌসুমের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দলে চোটের থাবা নিয়ে এবারও হতাশা
লুকোননি জিদান। এরপরও লিগে টানা চার ম্যাচ জয় পাওয়ায় খেলোয়াড়দের কৃতিত্ব দিলেন তিনি।
“আমরা পরিস্থিতি
নিয়ে মোটেও খুশি নই। এটা নিয়ে আমরা অনেক কথা বলেছি কিন্তু এটা নিয়ে আমাদের তেমন কিছু
করার নেই।”
“চোটের কারণে আমাদের
অনেক খেলোয়াড় বাইরে কিন্তু যারা আছে তারা খুবই নিবেদিত এবং আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
আজ যারা খেলেছে তাদের সবার প্রতি আমি খুশি। সপ্তাহজুড়ে আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি, আর
জয়টা তারই পুরস্কার।”