রোববার হল খোলার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসার পর
ইবি উপাচার্য বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের হল, ল্যাব, শ্রেণিকক্ষ যখন দেখি ফাঁকা পড়ে
থাকে, অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা যখন রাস্তায় অবস্থান করে, বিষয়গুলো আমাকে ভীষণ পীড়া
দেয়।
“যদি অবস্থান থাকত তাহলে আমিও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আন্দোলনে
যোগ দিতাম। আমি তাদের আন্দোলনের সঙ্গে একমত।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খোলার বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের
হাতে নেই জানিয়ে উপাচার্য বলেন, এ সপ্তাহ শেষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আমাদের মিটিং
আছে। সেখানে তোমাদের এ যৌক্তিক দাবিগুলো সরকারকে জানাব। যাতে করে সরকার খুব
তাড়াতাড়ি আবাসিক হল খুলে দেওয়ার অনুমতি দেন।
তবে তিনি আশা করছেন, অচিরেই হল খোলার নির্দেশনা পাওয়া যেতে
পারে।
দেশের অন্য কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো ইসলামী
বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খোলার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে শিক্ষার্থীরা।
রোববার উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের সঙ্গে আলোচনা
শেষে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরা জানান, হল খোলার দাবিতে আগামী সোমবার সকালে
ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করবে।
এরপর হল না খোলা পর্যন্ত তারা প্রতিটি হলের সামনে অবস্থান
কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন তারা।
এর আগে শিক্ষার্থীদের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল উপাচার্য
অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের সঙ্গে তার বাসভবনে আলোচনায় বসে।
এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ইবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.
শাহিনুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আতাউর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর
হোসেন, ইবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি হুমায়ুন কবির জীবন, ইবি প্রেস ক্লাবের সাধারণ
সম্পাদক তারিকুল ইসলাম প্রমুখ।