জর্জিয়া স্টেট সিনেটের প্রথম বাংলাদেশি-আমেরিকান সেনেটর শেখ রহমান এ প্রস্তাব এনেছিলেন। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি জর্জিয়া সেনেটে তা গৃহীত হয়।
সেখানে বলা হয়, ভাষার স্থান মানুষের অন্তরের অন্তস্থলে। আর এই বিশ্বের ভাষা ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্য লালন বিকাশ ও সংরক্ষণের জন্য বহুভাষিকতা গুরুত্বপূর্ণ।
বাঙালির ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস তুলে ধরে সেখানে বলা হয়, “মাতৃভাষার অধিকার রক্ষায় ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি নজিরবিহীন ত্যাগ স্বীকার করেছে বাংলাদেশ, দিনটি তারা পালন করে শহীদ দিবস হিসেবে।”

জর্জিয়া সেস্ট সেনেটে শেখ রহমান। ছবি: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাবকে সমর্থন করে। এরপর ২০১০ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে সেই প্রস্তাব গৃহীত হয়। এরপর থেকে প্রতিবছর ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে, সে কথাও বলা হয়েছে জর্জিয়া স্টেট সিনেটে পাস হওয়া প্রস্তাবে।
সেখানে বলা হয়, “বাংলাদেশ এ বছর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপান করছে, একইসঙ্গে চলছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীর উদযাপন, যিনি ছিলেন ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ ছাত্রনেতা।
“সুতরাং, এই সেনেটে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হচ্ছে যে, এই পর্ষদের সদস্যরা ২১ ফেব্রুয়ারিকে শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছেন এবং বাংলাদেশে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন।”
সেনেটর শেখ রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মায়ের ভাষা তথা নিজ দেশ, সংস্কৃতি, ইতিহাস-ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখার অভিপ্রায়ে যারা অকৃপণভাবে রক্ত দিয়েছেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি সেই চেতনা প্রবাস প্রজন্মে জাগ্রত রাখার জন্যে জর্জিয়া স্টেট সেনেটে এই প্রস্তাব পাস হওয়ার গুরুত্ব অপরিসীম।”
কিডস পাতায় বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনী, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি, সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা kidz@bdnews24.com । সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না! |