ভারতের চাহিদাকে তারা প্রাধান্য দিচ্ছেন বলে রোববার এক টুইটে জানিয়েছেন এসআইআইয়ের প্রধান নির্বাহী আদার পুনাওয়ালা।
টুইটে তিনি বলেছেন, “অনুগ্রহ করে ধৈর্য্য ধরার জন্য আমি বিনয়ের সঙ্গে আপনাদের অনুরোধ করছি। বাকি বিশ্বের চাহিদার সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রেখে কোম্পানিটিকে ভারতের বিপুল চাহিদাকে প্রাধান্য দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।”
ভারতের পুনে শহরভিত্তিক এই কোম্পানিটি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যায়/অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড-১৯ টিকা তৈরি করছে, যার নাম কোভিশিল্ড রেখেছে তারা।
ভারত তাদের জাতীয় টিকাদান কর্মসূচীর অংশ হিসেবে প্রাথমিকভাবে প্রায় ৩০ কোটি লোককে টিকা দেওয়ার লক্ষ নিয়েছে। মধ্য জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া তাদের এ কর্মসূচীতে যে দুটি টিকা ব্যবহার করা হচ্ছে তার একটি কোভিশিল্ড। এ পর্যন্ত প্রায় এক কোটি ১০ লাখ লোককে টিকা দেওয়া সম্পন্ন করেছে দেশটি।
বহু নিম্ন থেকে মধ্য আয়ের দেশ, বাংলাদেশ থেকে শুরু করে ব্রাজিল পর্যন্ত, এসআইআইয়ের অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার ওপর নির্ভর করে আছে।
কিন্তু কানাডাসহ কয়েকটি পশ্চিমা দেশে এই টিকার চাহিদা বাড়ছে। আগামী মাস থেকে কানাডাকে কোভিশিল্ড টিকা সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছেন পুনাওয়ালা।
ব্রিটেনের ওষুধ নিয়ন্ত্রণ সংস্থাও এসআইআইয়ের টিকা তৈরির প্রক্রিয়া নিরীক্ষা করে দেখছে। সম্ভবত পুনে থেকে যুক্তরাজ্য ও অন্যান্য দেশে কোভিশিল্ড টিকা পাঠানোর পথ প্রশস্ত করছে তারা।
টিকাদান কর্মসূচীর ধীর গতির জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার সমালোচনার মুখে পড়েছেন। এ পরিস্থিতিতে আসছে সপ্তাহগুলোতে টিকাদান কর্মসূচীর আওতা উল্লেখযোগ্যভাবে বিস্তৃত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষগুলো।
এক কোটি নয় লাখেরও বেশি কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ে আক্রান্তের তালিকায় বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে আছে ভারত। এ তালিকায় শুধু যুক্তরাষ্ট্র দেশটির উপরে আছে।
দেশটিতে এখন প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১২ হাজার নতুন সংক্রমণ শনাক্ত হচ্ছে বলে জানাচ্ছে রয়টার্সের বিশ্লেষণ। সেপ্টেম্বরের সর্বোচ্চ পর্যায়ের তুলনায় এটি একটি ভগ্নাংশ হলেও এখন দেশটির কিছু রাজ্যে সংক্রমণ সংখ্যা ফের বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ রোববার জানিয়েছে।
ওই রাজ্যগুলোকে সামগ্রিকভাবে পরীক্ষা, নজরদারি ও কোভিড-১৯ এর মিউটেশন পর্যবেক্ষণ করতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।