প্রশাসনের সাথে পৃথক বৈঠকের পর শনিবার এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন ছাত্র এবং শ্রমিকরা আলাদা আালাদাভাবে তাদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
গত মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর রূপাতলীতে বিআরটিসির কাউন্টারে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে লাঞ্চিত করার এবং এর জেরে রাতে ছাত্রনিবাসে (মেস) হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বুধবার বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনার জেরে পুলিশ দুই পরিবহন শ্রমিককে গ্রেপ্তার করলে শনিবার অবরোধ কর্মসূচিতে নামে শ্রমিকরা।
অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা আসল হামলাকারীদের ‘আড়াল করতে’ দুই শ্রমিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযোগ তুলে প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সকালে ক্যাম্পাসের সামনে বরিশাল-কুয়াকাটা সড়ক অবরোধ করে।
শিক্ষার্থী এবং পরিবহন শ্রমিকদের পাল্টাপাল্টি অবরোধে পাঁচ জেলার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ যায়।
বিকালে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে প্রথমে বৈঠকে বসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছাদেকুল আরেফিন। এ সময় শিক্ষক, জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছাদেকুল আরেফিন বলেন, শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। সেগুলো বাস্তবায়ন করা হবে দ্রুতই। আমরাও চাই শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারীদের বিচার হোক।
বিকেল ৫টায় সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয় শিক্ষার্থীরা।
আহত শিক্ষার্থী আলিম সালেহী জানান, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ২১শে ফেব্রুয়ারি রোববার সড়ক অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।
“এই সময়ের মধ্যে শনাক্ত করা হামলাকারীদের নাম মামলায় যুক্ত করে, তাদের গ্রেপ্তার করা না হলে সোমবার থেকে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।”
অপরদিকে, সন্ধ্যার পরে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের সাথে বৈঠকে বসে প্রশাসন। বৈঠক শেষে রাত সাড়ে ৭টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয় পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা।
বরিশাল-পটুয়াখালী বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওসার হোসেন শিপন বলেন, “শিক্ষার্থীদের সাথে রূপাতলী বাস মালিক সমিতির কারো কোনো বিরোধ ছিল না, এখনো নেই।
“তেমনি তাদের আন্দোলনের সাথে আমাদের আন্দোলনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো যতক্ষণ শ্রমিকদের মুক্তি না হবে।
“তবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সাময়িক সময়ের জন্য আন্দোলন শিথিল করা হয়েছে।”
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার মোকতার হোসেন বলেন, দুই পক্ষের সাথে আমাদের বৈঠক হয়েছে। তারা অবরোধ তুলে নিয়েছে। আমরা একটি স্থায়ী সমাধানের দিকে এগুচ্ছি।