রোববার বাংলাদেশ শিশু একাডেমি
আয়োজিত ‘শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য’ বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানে
তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ও ২০৪১
সালের উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে তোমরাই মূল ভূমিকা রাখবে। একুশ মানে মাথা নত নয়,
একুশ মানে চেতনা। একুশ মানে অনুপ্রেরণা।
“যারা নতুন প্রজন্ম আছো
তোমাদের কাছে আশা করি তোমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, অসাম্প্রদায়িকতায়
বেড়ে উঠবে এবং শুদ্ধভাবে বাংলা চর্চা করবে। এটাই হবে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক
মতৃভাষা দিবসের অঙ্গীকার।”
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “দেশ
বিভাগের পর থেকেই বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন পাকিস্তানী শাসকেরা বাঙালির বিরুদ্ধে গভীর
ষড়যন্ত্র শুরু করেছে, ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হলেও আবার নতুন শোষণের কবলে পড়েছে দেশ।
তিনি ১৯৪৭ সালেই বাংলা ভাষাকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের লেখা ও আইন-আদালতের ভাষা করার
দাবি করেছিলেন।
“বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাংলাকে
রাষ্ট্র ভাষা করা আন্দোলনের মূল সংগঠক। ১৯৪৮ সালে বাংলা ভাষার পক্ষে যে লিফলেট বিতরণ
করা হয়, সেখানে বঙ্গবন্ধু ছিলেন অন্যতম স্বাক্ষরকারী। তিনি ভাষার দাবিতে আন্দোলন করে
দুইবার গ্রেপ্তার হন।”
ভাষা আন্দোলনে নারীদের গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকার কথাও স্মরণ করেন তিনি।
বলেন,
বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান
লাকী ইনামের সভাপতিত্বে আলোচনায় বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সচিব কাজী রওশন আক্তার, শিশু
একাডেমির মহাপরিচালক জ্যোতি লাল কুরী।