একুশে ফেব্রুয়ারির
সকালের এই ঘটনায় এই দুই শিশুর বাবা উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল
উপজেলায় রোববার এই শহিদ মিনার তৈরি করে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র প্রজ্জ্বল প্রিয়।
প্রজ্জ্বল প্রিয় জানায়,
ছোটো বোন পূর্ণশ্রী প্রিয়ানা ঘুম থেকে উঠে দেখে বাবা শহিদ মিনারে চলে গেছেন। তাই
মন খারাপ হয়ে যায় তার।
“তখন বোনের মন ভালো
করতে আমি ঘরের জলচৌকি ও পিঁড়ি দিয়ে একটি তৈরি করে দেই। পরে আমরা সবাই মিলে এই
শহিদ মিনারে ফুল দিয়েছি।”
তারা আশপাশের
ছেলেমেয়েদেরও ডেকে আনে এবং সবাই মিলে ফুল দেয় বলে প্রজ্জ্বল প্রিয় জানায়।
ছবিতে দেখা যায়, একটা
ছোট্ট জলচৌকি ও তিনটি কাঠের পিঁড়ি দিয়ে তৈরি এই মিনার।
এই
ব্যাপারে প্রজ্জ্বল প্রিয় ও পূর্ণশ্রী প্রিয়ানার বাবা সাংবাদিক বিকুল
চক্রবর্তী বলেন, ঘুম থেকে উঠতে একটু দেরি হয়ে যায়। ওদিকে প্রেসক্লাবে সবাই
অপেক্ষা করছে। দ্রুত বের হয়ে যাওয়ার জন্য ছেলেমেয়েকে নিতে পারেননি।
“দুপুরে বাসায় এসে
দেখি আমার ছেলে-মেয়ে ও ভাগ্নি নিজেরাই শহিদ মিনার তৈরি করে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ
করেছে। আমি এটি দেখে অভিভূত।”
এই খুশিতে তিনি শিশুদের
পুরস্কৃত করবেন বলে জানান।