কিষানের অসাধারণ
পারফরম্যান্সের দিনে বিশ্বরেকর্ড গড়েছে তার দল ঝাড়খন্ড। ভারতের ঘরোয়া একদিনের ম্যাচের
টুর্নামেন্ট বিজয় হাজারে ট্রফিতে মধ্য প্রদেশকে হারিয়েছে তারা ৩২৪ রানে!
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ৫০ ওভারের ম্যাচে সবচেয়ে
বড় ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড এটি। ৬০ ওভারের ম্যাচে অবশ্য এটির চেয়ে বড় জয় আছে আরেকটি।
ইন্দোরের হোলকার
ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার ইনিংস শুরু করতে নেমে কিষান ফিফটি স্পর্শ করেন ৪০ বলে। সেঞ্চুরি
করতে লাগে ৭৪ বল। তিন অঙ্ক ছোঁয়ার পর আরও বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন ২২ বছর বয়সী বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
সেঞ্চুরি থেকে দেড়শ পর্যন্ত যেতে লাগে কেবল ১২ বল।
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের
হয়ে গত আইপিএল মাতানো কিষানের ডাবল সেঞ্চুরিও মনে হচ্ছিল কেবল সময়ের ব্যাপার। কিন্তু
আউট হয়ে যান ৯৩ বলে ১৭৩ রান করে। ইনিংসের তখনও বাকি ২২ ওভারের বেশি। তার ইনিংসে ১৯টি
চারের পাশে ছক্কা ছিল ১১টি।
বাংলাদেশে ২০১৬
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ভারতকে নেতৃত্ব দেওয়া কিষান এই টুর্নামেন্টে ঝাড়খণ্ডের অধিনায়ক।
১৭৩ রানের এই ইনিংস আরেকটি রেকর্ড হয়েছে এখানেও। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ভারতের কোনো কিপার-অধিনায়কের
সর্বোচ্চ ইনিংস এটি।
বিধ্বংসী ইনিংসের
পর ম্যাচের দ্বিতীয় ভাগে কিপিং গ্লাভস হাতে কিষান ডিসমিসাল করেন ৭টি। সবকটিই ক্যাচ।
তাতে স্পর্শ করেন মহেশ রাওয়াতের ৭ ক্যাচের ভারতীয় রেকর্ড। ক্যাচের বিশ্বরেকর্ড হয়নি
একটুর জন্য। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ৮ ক্যাচের বিশ্বরেকর্ড
যৌথভাবে ইংল্যান্ডের দুই কিপার ডেরেক টেইলর ও জেমস পাইপের।
তবে সেঞ্চুরির সঙ্গে
৭ ক্যাচ লিস্ট ‘এ’ ইতিহাসে কিষানই প্রথম।
কিষানের এই ইনিংসের
সঙ্গে অনুকুল রয়ের ৩৯ বলে ৭২ ও বিরাট সিংয়ের ৪৯ বলে ৬৮ রানের ইনিংসে ঝড়খন্ড ৫০ ওভারে
তোলে ৪২২ রান।
ভারতের মাটিতে এটি
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর।
২০১৫ সালে মুম্বাইয়ে ভারতের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার ৪৩৮ রানের স্কোরই কেবল এটির চেয়ে
এগিয়ে।
রান তাড়ায় বরুন অ্যারনের
৬ উইকেটে মধ্য প্রদেশ গুটিয়ে যায় কেবল ৯৮ রানেই। ঝাড়খন্ড ম্যাচ জিতে নেয় ৩২৪ রানে।
১৯৯০ সালে ইংল্যান্ডের
ঘরোয়া ওয়ানডে টুর্নামেন্টে ডেভনকে ৩৪৬ রানে হারিয়েছিল সমারসেট। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে রানের হিসেবে সবচেয়ে
বড় জয়ের রেকর্ড সেটি। তবে ওই ম্যাচ ছিল ৬০ ওভারের।
৫০ ওভারের ম্যাচে
সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড স্পর্শ করেছে ঝাড়খন্ড। ২০০৩ সালে ইংল্যান্ডে বাকিংহ্যামশায়ারকে
ঠিক ৩২৪ রানেই হারিয়েছিল গ্লস্টারশায়ার।