ক্যাটাগরি

প্রতিবেদন সরাতে চাপ স্বাধীন সাংবাদিকতায় বাধা সৃষ্টির কৌশল: চবি সাংবাদিক সমিতি

সোমবার
এক বিবৃতিতে চবিসাসের সভাপতি ইমরান হোসাইন এবং সাধারণ সম্পাদক মুনাওয়ার রিয়াজ
মুন্না ঘটনাটিকে ‘স্বাধীন সাংবাদিকতাকে বাধাগ্রস্ত করার কৌশল’ হিসেবে বর্ণনা করে
সংশ্লিষ্টদের তা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে
বলা হয়, “আমরা জেনেছি দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ইতোমধ্যে তিন ডজনের বেশি উকিল নোটিস
পাঠানো হয়েছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জ্যেষ্ঠ চার সম্পাদকের নামে। সেখানে বলা
হচ্ছে, ওই সব প্রতিবেদন ‘ডিলিট’ না করলে মামলা করা হবে। মামলা হবে ‘ডিজিটাল
নিরাপত্তা আইন’ আর মানহানির অভিযোগে।

“নেতৃবৃন্দ
মনে করেন, সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও হয়রানির উদ্দেশ্যে এ ধরনের অনৈতিক চাপ প্রয়োগ করা
হচ্ছে; যা স্বাধীন সাংবাদিকতাকে বাধাগ্রস্ত করার একটি কৌশল।”

বিবৃতিদাতারা
বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা না থাকলে দেশের মানুষের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছানো অসম্ভব
হয়ে পড়বে।

“ক্ষমতা
ও অর্থের জোরে সত্যের কণ্ঠরোধের এ ঘৃণ্য চেষ্টা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা
গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় এহেন হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে সরকারের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের
জোর দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে সাংবাদিক পেশাজীবীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। তা
না হলে প্রভাবশালীরা গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে বারবার অপশক্তি প্রয়োগ কারার সাহস
পাবে।”

চাপে নত হব না: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরের প্রধান সম্পাদক 

সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধের চেষ্টা: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরের বিবৃতি 

গত
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ওই চাপের বিষয়গুলো সাংবাদিকদের
সামনে তুলে ধরেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী।

সংবাদ
সম্মেলনে জানানো হয়, প্রিমিয়ার গ্রুপ অব কোম্পানিজের চেয়ারম্যান সাবেক এমপি বীর
মুক্তিযোদ্ধা ডা. এইচ বি এম ইকবালের বিরুদ্ধে গত দেড় দশকে বিভিন্ন সময়ে যেসব মামলা
হয়েছে, তার কার্যক্রম আর আদালতের আদেশ নিয়ে অন্য সব সংবাদমাধ্যমের মতো বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকমেও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেসব মামলা থেকে তারা অব্যাহতিও
পেয়েছেন। এখন, এতদিন পর, সেসব পুরনো খবর মুছে ফেলতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে অদ্ভূত
কায়দায় চাপ দেওয়া হচ্ছে।

দেশের
বিভিন্ন জেলা থেকে ইতোমধ্যে তিন ডজনের বেশি উকিল নোটিস পাঠানো হয়েছে বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকমের জ্যেষ্ঠ চার সম্পাদকের নামে। সেখানে বলা হচ্ছে, ওইসব প্রতিবেদন
‘ডিলিট’ না করলে মামলা করা হবে। মামলা হবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আর মানহানির
অভিযোগে। সব নোটিস মেলালে ক্ষতিপূরণ দাবির অংক দাঁড়ায় ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি।

ডা.
এইচ বি এম ইকবাল নিজে কোনো নোটিস পাঠাননি। বিভিন্ন জেলা থেকে যারা নোটিস
পাঠাচ্ছেন, তারা নিজেদের পরিচয় দিচ্ছেন ডা. ইকবালের বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে। এর
মধ্যে অন্তত একটি নোটিসে ‘বিরূপ পরিণতির’ জন্য প্রস্তুত থাকার ‘হুমকিও’ দেওয়া
হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

চাপের কাছে নতি স্বীকার না করার প্রত্যয়
জানিয়ে তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেন, “বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকমের নিজস্ব কোনো অনুসন্ধান এসব প্রতিবেদনে নেই; সম্পূর্ণভাবে মামলার কার্যক্রম ও আদালতের আদেশই
সেখানে বস্তুনিষ্ঠভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। তাহলে কোন যুক্তিতে একটি সংবাদমাধ্যম এসব প্রতিবেদন সরিয়ে ফেলবে?”

আরও পড়ুন


বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরের ওপর ‘অনৈতিক’ চাপ নিয়ে ডিইউজের উদ্বেগ
 


প্রতিবেদন সরাতে চাপ গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ: সিইউজে
 


বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরকে ‘অনৈতিক’ চাপ প্রয়োগের প্রতিবাদ বিজেএসসির
 


বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরকে ‘অনৈতিক’ চাপ প্রয়োগের প্রতিবাদ তিন বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাবের
 


বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরের উপর চাপ গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য হুমকি: ডুজা
 


বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরকে ‘অনৈতিক’ চাপ, চাঁদপুরের সাংবাদিকদের প্রতিবাদ

প্রতিবেদন সরাতে চাপ গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ: বাগেরহাট প্রেসক্লাব