২১ ফেব্রুয়ারির এ দিবসে
দারফুরের এলফেশার শহরের আল কিইদা বালিকা বিদ্যালয়ে এসব শিক্ষা উপকরণ বিতরণ হয় বলে শান্তি
মিশনের থাকা বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মাসুক মিয়া জানিয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয়
শিক্ষা সামগ্রী দেওয়ার জন্য শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পুলিশকে বিদ্যালয়টির
প্রধান শিক্ষিকা ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, “এই শিক্ষা
সামগ্রী শিক্ষার্থীদের খুবই প্রয়োজন ছিল, এর ফলে সুদান ও বাংলাদেশের মধ্যে ভাতৃত্ববোধ
বৃদ্ধি পাবে।”
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা
দিবস উপলক্ষে এ ধরনের উদ্যোগের জন্য বাংলাদেশ পুলিশকে সাধুবাদ জানান উনামিড পুলিশ চিফ
অফ স্টাফ জেনারেল আহমাদো মান্নাহ।
তিনি বলেন, “বাঙালি
এমন এক জাতি যে নিজ ভাষার জন্য জীবন দান করেছে। যা এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে
সারাবিশ্বে পালিত হচ্ছে।
“বাংলাদেশ পুলিশের
একটি ইউনিট শান্তিরক্ষা মিশনে এসে শান্তিরক্ষা প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি স্থানীয় বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা সামগ্রী
প্রদান করছে যা বাংলাদেশ এর ভাবমূর্তি বহির্বিশ্বে উজ্জ্বল করেছে।”
অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্যে
বাংলাদেশ ফর্মড পুলিশ ইউনিটের কমান্ডার মোহাম্মদ আব্দুল হালিম, “আমরা মিশন এরিয়াতে
ইতিমধ্যে দারফুরের নিয়ালা বিশ্ববিদ্যালয় ও খার্তুম বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির পিতাকে পরিচিতি
করার উদ্দেশ্যে শতাধিক বই প্রদান করি এবং চারটি স্কুলে নানা ধরনের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
করেছি।”
অপারেসনস অফিসার মাসুক
মিয়া জানান, “বাংলাদেশ ফর্মড পুলিশ ইউনিট সুদানের
যুদ্ধ বিদ্ধস্ত প্রদেশ দারফুরে শান্তি রক্ষার পাশাপাশি আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক
ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। এর আগে এই বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বাংলাদেশ ফর্মড পুলিশের উদ্যোগে
শহীদ মিনার স্থাপন করা হয়, যা সুদানের ইতিহাসে প্রথম।”
এর আগে এই শহীদ
মিনারে উনামিড মিশনের পুলিশ চিফ অফ স্টাফ, স্কুলের শিক্ষক, বাংলাদেশ ফর্মড পুলিশের
সদস্যরা ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ফুল দেন।