গোসাইরহাট থানার ওসি মোল্লা সোহেব আলী জানান, উপজেলার নাগেরপাড়া ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আনোয়ারা বেগম (৫৫) লক্ষ্মীপুর গ্রামের ঢালীরহাট এলাকার আব্দুল মতিন খাঁর স্ত্রী।
এ ঘটনায় তার মেঝ ছেলে আব্দুল মালেককে (৪০) আটক করা হয়েছে।

নিহতের স্বজনরা জানান, আনোয়ারা বেগম রোববার মাগরিবের নামাজ শেষে চা তৈরির করার জন্য রান্নাঘরে যান। এ সময় তার মেঝ ছেলে আব্দুল মালেকের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মোলেক কুঠার দিয়ে আনোয়ারার মাথায় কোপ দেয়। এ সময় আনোযারার চিৎকারে স্বজনরা এগিয়ে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। পরে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
নিহতের আরেক পুত্রবধূ পপি আক্তার বলেন, “জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিষয নিয়ে প্রায়ই মা ছেলের মধ্যে ঝগডা হত। রোববার রাতে শাশুড়ির চিৎকার শুনে ঘরের বাইরে গিয়ে দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি পড়ে আছেন এবং আমার ভাসুর কুঠার হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
“পরে আমি ও অন্যান্যরা এগিয়ে গেলে আমার ভাসুর ও তার স্ত্রী পালিয়ে যায়।”
ওসি বলেন, জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে মাকে হত্যা করেছে ছেলে। ঘটনার পর ঘাতক ছেলে আবদুল মালেক ও তার স্ত্রী আয়শা বেগম বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা মালেককে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
এ ঘটনায় নিহতের স্বামী আবদুল মতিন খা বাদী হয়ে মেঝ ছেলে ও ছেলের বউকে আসামি করে গোসাইরহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
আর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।