সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে
এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “সিঙ্গাপুর থেকে খবর পেলাম, এর মধ্যে তারা ১০ হাজার অতিরিক্ত
লোকের চাকরির সংস্থান করবে।
“সিঙ্গাপুরে আমাদের
মিশন প্রতিনিধি পাঁচশর অধিক ওয়ার্ক পারমিট ইস্যু করতেছে। এটা সুখবর, আমি সবার সাথে
শেয়ার করতে চাই।”
পূর্ব এশিয়ার দ্বীপ
দেশ সিঙ্গাপুরে সব মিলিয়ে ১ লাখ ৩০ হাজার বাংলাদেশি রয়েছেন বলে ধারণা করা হয়।
করোনাভাইরাস মহামারীর
কারণে বিদেশ থেকে বাংলাদেশিকর্মীদের ফেরত আসার মধ্যে সরকার নতুন কর্মসংস্থানের উদ্যোগ
নিয়েছিল বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “আমরা আমাদের
মিশনগুলোকে বলেছিলাম, আপনারা আমাদের লোকদের গেইনফুল এমপ্লয়মেন্টের জন্য চেষ্টা করুন।
সেটার সুখবর আসছে।”
নতুন করে বাংলাদেশ
মিশন স্থাপন করা ইউরোপের দেশ রোমানিয়াতেও আরও দুই হাজার লোকের কর্মসংস্থান হতে যাচ্ছে
বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।
তিনি বলেন, “রোমানিয়াতে
আমরা নতুন মিশন খুলেছি। সেখানে এর মধ্যে প্রায় ১৪০০ লোক গিয়েছে। কালকে খবর পেলাম সেখানে
আরও দুই হাজার লোক নেবে।”
মুরগি জবাইয়ের কারখানায়
এই কর্মসংস্থান হবে জানিয়ে মোমেন বলেন, “মজার কথা শুনলাম, ওখানে অনেককে নেবে মুরগি
হালাল করার ফ্যাক্টরিতে। ওরা জার্মানি, ফ্রান্স এগুলোতে হালাল মাংস পাঠায়। তারা সে
ধরনের লোক খুঁজতেছে। এটা খুবই আগ্রহ উদ্দীপক।”
সিঙ্গাপুরে কাজের পরিবেশ
সন্তোষজনক হওয়ার কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, “সিঙ্গাপুরে যারা কাজ করে, মোটামুটি তাদের
অভিযোগ-আপত্তি খুব একটা থাকে না।”
প্রবাসীকর্মীদের সহনশীলতার প্রশংসা করে তিনি বলেন,
“আমাদের লোকজন কোথাও গেলে কোনো না কোনোভাবে কাজের ব্যবস্থা করে নেয়।”
মহামারী শেষের অপেক্ষায়
প্রবাসীকর্মীরা যেন ‘কষ্ট করে’ হলেও বিদেশে থেকে যান, সে আহ্বান রেখেছিলেন জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বলেন, “আমরা খুব করে চাচ্ছিলাম, আমাদের প্রবাসীরা যেন বিদেশে থাকে।
“আমি নিজেও ভিডিও মারফত
অনুরোধ করেছি, প্রবাসীদেরকে, আল্লাহর ওয়াস্তে এই আপদকালীন সময়ে পারলে থেকে যান, কষ্ট
করে। এরপর সুযোগ আসবে।”