সোমবার এই শিল্পীর ৭১তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৫০ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি
ফরিদপুরের ভাঙ্গার কালামৃধা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
দিনটি পালনোপলক্ষে এবার গাজীপুরের হোতাপাড়ার বিশিয়া কুড়িবাড়ি
এলাকায় `বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্র’
চত্বরে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠী’।
বিকালে কেক কেটে ও গান গেয়ে এই আনন্দ উদযাপনে ফকির আলমগীর
ছাড়াও দেশ বরেণ্য শিল্পী মো. খুরশিদ আলম, একুশে পদকপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র অভিনেত্রী সালমা
বেগম সুজাতা ও বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের শিল্পীরা অংশ নেন।

ফকির আলমগীর বাঁশি বাজিয়ে, কেক কেটে এবং বয়স্ক পূনর্বাসনের
নিবাসীদের মাঝে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে জন্মদিনের আনন্দ উপভোগ করেন।
এই সময় পুনর্বাসন কেন্দ্রের নিবাসীরা ফকির আলমগীরের হাতে ফুলের
তোড়া তুলে দেন।
অনুষ্ঠানের অতিথিরা বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রে ফলজ বৃক্ষ রোপন
করেন।
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্যায়ে আলোচনা সভার আয়োজ ছিল।
এতে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর
রহমান, সালমা বেগম সুজাতা, খুরশীদ আলম, বয়স্ক পূনর্বাসন কেন্দ্রের চেয়্যারম্যান ও
ব্যবস্থাপনা পরিচালক খতিব আব্দুল জাহিদ মুকুল, তার স্ত্রী মাসুমা খাতুন নিপা,
গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেল শেখ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা
আব্দুল্লাহ আল জাকীসহ বৃদ্ধাশ্রমের নিবাসীরা অংশ নেন।

প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান অনুষ্ঠানে বলেন, ফকির আলমগীর দেশকে
ভালোবেসে গান গেয়েছেন; এখনও গাইছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তার গাওয়া গাণ স্বাধীনবাংলা
বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচার হতো। তার গাওয়া গণসঙ্গীত, রণসঙ্গীত দেশের মানুষকে,
মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্বেলিত করত; সাহস ও শক্তি যোগাত।
তিনি এই শিল্পীর শতায়ু কামনা করেন।
প্রতিমন্ত্রী `বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্র’র
প্রতিষ্ঠাতা মুকুলের প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, এই প্রতিষ্ঠানে আর্থিক সহায়তার কথা বললে মুকুল তা
গ্রহণে অসম্মতি জানান। তিনি এই প্রতিষ্ঠানটি যাতে ভালোভাবে চালাতে পারেন সে বিষয়ে পরামর্শ
চেয়েছেন।
ফকির আলমগীর বলেন, এখন থেকে তিনি পথশিশু, বৃদ্ধাশ্রমের
নিবাসীদের মতো লোকদের সঙ্গে প্রতিবছর তার জন্মদিনের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন।
ফকির আলমগীর তার ৭১তম জন্মবার্ষিকী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে উৎসর্গ
করেন।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ফকির আলমগীর, খুরশিদ আলম, সুজাতা ও
বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন।