এ খবর জানিয়ে সোমবার
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় ১০ দিন আগে সাগরে যাত্রা করা রোহিঙ্গাদের নৌযানটি
ভারতের আন্দামান ও নিকোবর দীপপুঞ্জের কাছে অবস্থান করছে বলে জানা গেছে। তাতে খাবার
ও পানি শেষ হয়েছে এবং যাত্রীদের অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
আরাকান প্রজেক্ট নামের
একটি মানবাধিকার গ্রুপ বলছে, নৌযানের আরোহীদের মধ্যে অন্তত আটজনের মৃত্যু হয়েছে, মুখ্যত
পানিশূন্যতার কারণে।
গ্রুপটি বলছে, নৌযানটিতে
আনুমানিক ৯০ জনের মতো যাত্রী আছে, তাদের মধ্যে ৬৫ জন নারী ও মেয়ে শিশু।
আরাকান প্রজেক্টের
পরিচালক ক্রিস লেওয়া নিউজ মিনিট ওয়েবসাইটকে বলেন, “তাদের আর কোনো পানীয় জল ও খাবার
অবশিষ্ট নেই। উপায় না পেয়ে তারা সাগরের পানি পান করছেন।”
ভারতের নৌবাহিনী ও
কোস্টগার্ডের সঙ্গে বিবিসি যোগাযোগ করলে তাদের জলসীমায় কোনো নৌযান থাকার কথা অস্বীকার
করেছে। তবে ভারতীয় কোস্টগার্ডের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন যে,
নৌযানটি দ্বীপপুঞ্জের কাছেই আছে।
সোমবার সকালে ক্রিস
লেওয়া বলেছিলেন, ওই নৌযানের কাছাকাছি থাকা ভারতীয় নৌবাহিনীর নৌযান থেকে তাদের খাবার
ও পানি দেওয়া হয়েছে।
এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের
শরণার্থী সংস্থা বলেছে, “জীবন বাঁচাতে এবং আরও বিয়োগান্তক ঘটনা ঠেকাতে জরুরি পদক্ষেপ
দরকার।
“আমরা সরকারগুলোর প্রতি
আহ্বান জানাচ্ছি, তাদের অনুসন্ধান ও উদ্ধার তৎপরতার সক্ষমতা কাজে লাগানো হোক এবং এই
দুর্গতদের দ্রুত তীরে আনা হোক।”
২০১৭ সালের অগাস্টে
রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমনাভিযানের মুখে রোহিঙ্গারা পালিয়ে বাংলাদেশে আসতে থাকে।
কয়েক মাসের মধ্যে সাত লাখ ৪০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা এসে বাংলাদেশের কক্সবাজার উপকূলে
আশ্রয় নেয়। সম্প্রতি সেখান থেকে কয়েক হাজার রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তর
করা হয়েছে।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে
নৌকায় সাগর পাড়ি দিয়ে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার আশায় রোহিঙ্গারা কয়েক দফায় এ
ধরনের নৌ যাত্রা করেছেন।
জাতিসংঘের তথ্য মতে,
বিপজ্জনক এই যাত্রায় গত বছর দুইশ’র বেশি রোহিঙ্গা সাগরে ডুবে মারা গেছে বা হারিয়ে গেছে।