নিহত সমর বিজয় চাকমা (৩৮) উপজেলার রূপকারি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির এমএন লারমা সমর্থক অংশের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
বুধবার দুপুর ১টার দিকে অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজন লোক কক্ষে ঢুকে এই হত্যাকাণ্ড চালায় বলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নুরনবী সরকার জানান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “ইউপি সদস্য সমর বিজয় চাকমা আমার কক্ষে বসে প্রকল্পের বিষয়ে কথা বলছিলেন। এ সময় দুই-তিনজন লোক দরজার বাইরে উঁকি দিচ্ছিল। তাদের একজন রুমে ঢুকে সমর বিজয়ের বুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে। তারপর তারা দ্রুত অফিস ত্যাগ করে।”
বাঘাইছড়ি থানার ওসি আনোয়ার হোসেন খান বলেন, খবর পেয়ে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে যান এবং ইউপি সদস্যের গুলিবিদ্ধ লাশ চেয়ারেই পড়ে থাকতে দেখেন।

বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ ভবনের দ্বিতীয় তলায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়। তার তিনটি কক্ষ পরেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফুল ইসলামের কক্ষ।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে শরিফুল ইসলাম বলেন, হত্যাকারীরা মোটরসাইকেলে করে এসেছিল। গুলি করেই তারা দ্রুত সেখান থেকে চলে যায়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএনলারমা) কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমা জানান, নিহত সমর বিজয় চাকমা ছিলেন তাদের সহযোগী সংগঠন যুব সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা।
এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সন্তু লারমা সমর্থক পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কর্মীদের দায়ী করে খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন সুদর্শন।
তবে এ অভিযোগের বিষয়ে সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতির কারও বক্তব্য জানা যায়নি।