ক্যাটাগরি

ভবিষ্যতের জন্য তৈরি হওয়ার সিরিজ

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে শুক্রবার শুরু হচ্ছে আয়ারল্যান্ড উলভসের সঙ্গে বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের চার দিনের ম্যাচ। আইরিশদের ‘এ’ দলের কেতাবি নাম উলভস। তাদের বিপক্ষে চার দিনের ম্যাচের পর ৫টি একদিনের ও ২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচও খেলবে বাংলাদেশের উঠতি ক্রিকেটাররা।

আইরিশদের ‘এ’ দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের ‘এ’ দল না খেলিয়ে কেন বেছে নেওয়া হলো ইমার্জিং দল, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে সেই ব্যাখ্যা দিলেন প্রধান নির্বাচক।

“এটা ডেভেলপিং স্কোয়াড। ‘এ’ দলের ম্যাচে সবসময় আমরা একটু পরিণত ক্রিকেটারদের নেই। এবার পুরো ইমার্জিং নিয়েছি, অনূর্ধ্ব-১৯ থেকে উঠে আসা ও এরকম অন্যদের, কারণ আমরা দেখতে চাই ওদের ডেভেলপমেন্ট কেমন হলো । কতটা উন্নতি করেছে বা করতে হবে, এসবও দেখব।”

“আমাদের এই ছেলেরা লঙ্গার ভার্সন শিখুক। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কাছাকাছি মানের ক্রিকেট খেলুক। আয়ারল্যান্ড বেশ শক্তিশালী দল এসেছে। প্রপার ‘এ’ দল ওদের, আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা আছে বেশ কয়েকজনের। ওদের সঙ্গে খেললে নিজেদের অবস্থা বোঝার ও উন্নতির সুযোগ আছে।”

গত বছর অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের বেশ কজন ক্রিকেটার আছেন এই ইমার্জিং স্কোয়াডে। আছেন উঠতি আরও বেশ কজন ক্রিকেটার। মিনহাজুলের কৌতুহলী চোখ থাকবে তাদের দিকে।

“আমি মনে করি, এই সুযোগ ওদের জন্য অনেক বড়। সাধারণত এতজন তরুণ ক্রিকেটার একসঙ্গে অন্য একটা দেশের ‘এ’ দলের সঙ্গে খেলার সুযোগ পায় না। এখানে ওরা পারফর্ম করতে পারলে ভবিষ্যতের জন্য অনেক অনুপ্রাণিত হবে। আমরাও নজরে রাখতে পারব।”

“দলের পারফরম্যান্স এখানে মুখ্য নয়। অবশ্যই জয়টা গুরুত্বপূর্ণ। তবে তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ শেখা ও নিজেদের উন্নতি বোঝানো।”

সিরিজ শুরুর আগেই অবশ্য সুযোগ হারিয়ে ফেলেছেন একজন। জিম করতে গিয়ে পা মচকে গোটা সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান পারভেজ হোসেন ইমন। লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ছিলেন প্রাথমিক স্কোয়াডে। অসুস্থতার কারণে তাকে চার দিনের ম্যাচে রাখা হয়নি। তবে সীমিত ওভারের সিরিজে দেখা যেতে পারে বলে জানালেন প্রধান নির্বাচক।

আরেক তরুণ লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন খেলবেন চার দিনের ম্যাচে। কদিন আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে ৫ উইকেট শিকার করা এই লেগ স্পিনারের অগ্রগতিতেও চোখ রাখছেন নির্বাচকরা।

“রিশাদকে তো আমরা অনেক দিন থেকেই খেলাচ্ছি নানা জায়গায়। ওদের পাশে আছি আমরা। একবারে অনেক উন্নতি করতে হবে, এমন কিছু চাই না। তবে একটু একটু করে উন্নতি হচ্ছে। এভাবেই এগোতে থাকুক।”

এই ইমার্জিং দলে টেস্ট ক্রিকেটারও আছেন একজন, সাইফ হাসান। সদ্য সমাপ্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে দুই টেস্টে স্কোয়াডে থাকলেও যিনি খেলার সুযোগ পাননি। দ্বিতীয় টেস্টে তরুণ এই ওপেনারকে না নিয়ে সৌম্য সরকারকে খেলানোয় সমালোচনা হয়েছিল অনেক। প্রধান নির্বাচক তখন বলেছিলেন, সাইফকে নড়বড়ে মনে হয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টের।

আইরিশদের বিপক্ষে এই সিরিজে তাই সাইফকে নেওয়া হয়েছে ছন্দ খুঁজে পেতে।

“সাইফ টেস্ট অ্যারেনায় আছে, আমাদের ভাবনায় আছে। আমরা চাইব, এই খেলাগুলোয় যেন সে নিজেকে মেলে ধরতে পারে। আমার মনে হয়, তার একটি-দুটি বড় ইনিংস দরকার। টেম্পারামেন্ট বা অন্যান্য কিছু ভালো আছে। কিছু রান পেলেই আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবে।”

চট্টগ্রামে চার দিনের ম্যাচের পর একই মাঠে ৫, ৭ ও ৯ মার্চ হবে একদিনের ম্যাচের সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচ। পরের দুই ম্যাচ হবে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে, ১২ ও ১৪ মার্চ। মিরপুরেই টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দুটি ১৭ ও ১৮ মার্চ।