শেষ ষোলোর প্রথম লেগে
মঙ্গলবার রাতে ৪-১ গোলে জিতেছে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। রবের্ত লেভানদোভস্কি, লেরয় সানে
ও জামাল মুসিয়ালা করেন একটি করে গোল। অন্য গোলটি আত্মঘাতী। লাৎসিওর একমাত্র গোলটি করেন
হোয়াকিন কোররেয়া।
শুরু থেকে লাৎসিওকে
চেপে ধরে বায়ার্ন। দুটি সুযোগ হাতছাড়া করা সফরকারীরা নবম মিনিটেই পেয়ে যায় জালের দেখা।
গোলকিপারকে দুর্বল
ব্যাকপাস দিতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন মাতেও মুসাচ্চিও। পেপে রেইনা ছুটে এসে নিয়ন্ত্রণে
নেওয়ার আগেই বলের নাগাল পেয়ে যান লেভানদোভস্কি। ঠাণ্ডা মাথায় বাকিটা সহজেই সারেন এই
পোলিশ স্ট্রাইকার।
এই গোলে সাবেক স্প্যানিশ
স্ট্রাইকার রাউল গনসালেসকে ছাড়িয়ে গেলেন লেভানদোভস্কি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তার ৭২ গোলের
বেশি আছে কেবল ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো (১৩৪) ও লিওনেল মেসির (১১৯)।
২৩তম মিনিটে সমতা ফেরানোর
দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করেন লুইস আলবার্তো। বিপজ্জনক জায়গায় বল পেয়েও ঠিকমতো শট নিতে
পারেননি তিনি। এর কয়েক সেকেন্ড পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে বায়ার্ন।

লেয়ন গোরেটস্কার পাস
ডি-বক্সের মাথায় পেয়ে নিচু শটে বাঁ দিকের পোস্ট ঘেঁষে জাল খুঁজে নেন মুসিয়ালা। চ্যাম্পিয়ন্স
লিগে নকআউট পর্বে ১৭ বছর ৩৬৩ দিন বয়সী এই মিডফিল্ডারের চেয়ে কম বয়সে গোল দিয়েছেন কেবল
বোয়ান ক্রকিচ (১৭ বছর ২১৭ দিন)।
৪২তম মিনিটে ব্যবধান
আরও বাড়ান সানে। শুধু আলফুঁস ডেভিসের কাছে বলই হারাননি পাত্রিচ, তাকে ফাউল করার চেষ্টায়ও
ব্যর্থ হন। দারুণ গতিতে এগিয়ে যাওয়া ডেভিসের শট ফেরান রেইনা, ফিরতি বলে জাল খুঁজে নেন
সানে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই
স্কোরলাইন ৪-০ করে ফেলে বায়ার্ন। লাৎসিওর এক কর্নার থেকে সতীর্থের পা ঘুরে বল পেয়ে
দারুণ গতিতে এগিয়ে যান সানে। পায়ের কারিকুরিতে লেগে থাকা ডিফেন্ডারকে এড়িয়ে নিচু ক্রস
করেন এই ফরোয়ার্ড। দলকে বাঁচাতে গিয়ে উল্টো নিজেদের জালেই বল পাঠিয়ে নেন ফ্রান্সেসকো
আসেরবি।
৪৯তম মিনিটে ব্যবধান
কমান কোররেয়া। বায়ার্নের ডি-বক্সের মাথায় বল পেয়ে আশেপাশে থাকা প্রতিপক্ষের তিন খেলোয়াড়কে
এড়িয়ে দারুণ ফিনিশিংয়ে মানুয়েল নয়ারকে পরাস্ত করেন তিনি।
চার মিনিট পর বাঁকানো
শটে আবার চেষ্টা করেন এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। এবার জার্মান গোলরক্ষককে আর ফাঁকি দিতে
পারেননি তিনি। বাকি সময়ে আর জালের দেখা পায়নি কোনো দলই।
১৭ মার্চ হবে ফিরতি
পর্ব।