বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে
অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয় বলে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো
হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,
“বৈঠকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবায় অসাধারণ সাহস ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব
পালনসহ চিকিৎসা সেবায় অন্যান্য অবদানের জন্য সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালকে (সিএমএইচ)
চলতি বছর স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদানের জন্য কমিটি সুপারিশ করে।”
২৬ মার্চ স্বাধীনতা
দিবস উপলক্ষে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে। পুরস্কারজয়ী প্রত্যেকে
পান ১৮ ক্যারেট মানের ৫০ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, পাঁচ লাখ টাকার চেক ও একটি সম্মাননাপত্র।
স্বাধীনতা পদকের জন্য
প্রস্তাব চেয়ে প্রতি বছর মন্ত্রণালয়/বিভাগ এবং আগে পদক প্রাপ্তদের কাছে চিঠি পাঠায়
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সেখান থেকে যাচাই করে পদক দেওয়া হয়।
বছরখানেক ধরে চলা করোনাভাইরাস
মহামারী মোকাবেলায় বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল। মন্ত্রী-সংসদ সদস্যসহ
সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে তাদের এই হাসপাতালে নিয়ে
চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। লেখক-অধ্যাপকসহ বিভিন্ন পেশার শীর্ষস্থানীয়দের মধ্যেও কারও অবস্থা
গুরুতর হলে চিকিৎসার জন্য তাকে সেখানে নেওয়া হয়েছে।
সংসদীয় কমিটির বৈঠকে
প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ, অবকাঠামো উন্নয়ন ও প্রযুক্তিগত বিকাশের মাধ্যমে মহাকাশ গবেষণা
ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানকে (স্পারসো) একটি অত্যাধুনিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার সুপারিশ
করা হয়েছে।
এছাড়া ঢাকার সাভারে
অবস্থিত পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের আট একর জমি দ্রুত মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন
প্রতিষ্ঠানকে (স্পারসো) হস্তান্তরের সুপারিশ করা হয়েছে।
কমিটি বৈঠকের কার্যপত্র
থেকে জানা গেছে, সাভারের পরমাণু শক্তি কমিশনের জমিতে ১৯৮৫ সালে আঞ্চলিক দূর অনুধাবন
কেন্দ্র স্থাপিত হয়। অবকাঠামো তৈরি, ভূমি উন্নয়ন ও জমির দাম বাবদ ৮৫ লাখ টাকা দেওয়া
হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত স্পারসো জমি বুঝে পায়নি। সম্প্রতি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ
বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে।
কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ
সুবিদ আলী ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান, ইলিয়াস উদ্দিন
মোল্লাহ্, মোতাহার হোসেন, নাসির উদ্দিন, মহিবুর রহমান ও নাহিদ ইজাহার খান অংশ নেন।