ঝালকাঠির জেলা ও দায়রা জজ মো. শহিদুল্লাহ বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন।
একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে আদালত।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দেউরি গ্রামের গিয়াস মল্লিক (৪৫), কিস্তাকাঠি গ্রামের শাহীন ভূঁইয়া (৩৫) ও মির্জাপুর গ্রামের জয়নাল কাদি (৪৬)।
তাছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সোহরব হোসেন নামে একজনকে খালাস দিয়েছে আদালত।
রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন পাওয়া শাহীন ও জয়নাল আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
গিয়াস মল্লিক পলাতক রয়েছেন বলে জানিয়েছেন আদালতের পিপি আবদুল মান্নান রসুল।
পিপি মামলার নথির বরাতে জানান, পুরনো বিরোধের জেরে ২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল ঝালকাঠি শহরের স্টেশন রোডের একটি টিনের দোকানের ব্যবস্থাপক শাহাদাৎ হোসেনকে (৬৫) নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে লঞ্চঘাট এলাকায় জয়নাল কাদির বাসায় গলা কেটে হত্যা করা হয়। পরে লাশ সুগন্ধা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। ২৩ এপ্রিল ভাসমান অবস্থায় মাথাবিহীন লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ওই দিন ঝালকাঠি থানার পিএসআই আবদুর রহিম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন।
পরে পুলিশ জয়নাল কাদিকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচিত হয়। ঝালকাঠি থানার ওসি শীল মণি চাকমা তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
পিপি বলেন, আদালত ৩৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে তিন আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে এই সাজা দিয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পিপি আবদুল মান্নান রসুল। আসামিপক্ষে ছিলেন হুমায়ুন কবির বাবুল ও ফয়সাল খান।
রায়ে নিহতের পরিবার সন্তোষ প্রকাশ করেছে। আসামিপক্ষ এই রায়ের বিপক্ষে উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী।