বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বিমানের
একটি ফ্লাইটে শাহজালাল বিমানবন্দরে নামার পর হুইল চেয়ারে চড়ে গাড়িতে ওঠেন ফখরুল।
তার সঙ্গে থাকা স্ত্রী রাহাত আরা বেগমও ছিলেন আরেকটি হুইল চেয়ারে।
হুইল চেয়ারে বসেই বিমানবন্দরে
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
শরীরের অবস্থা কেমন- জানতে চাইলে তিনি
বলেন, “ভালো না। আই অ্যাম সিক। আমি অসুস্থ, এখনও সুস্থ নই। সিঙ্গাপুরে ১৪ দিন
কোয়ারেন্টিনে থেকে তারপরে ডাক্তারদের সঙ্গে দেখা করে সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে
ফিরছি।”
কোভিড-১৯ টিকার বিষয়ে ফখরুল বলেন, “সেখানে
(সিঙ্গাপুর) বিদেশিদের টিকা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এখানে এসে দেখব কী অবস্থা,
রেজিস্ট্রেশন করে তখন চেষ্টা করব।”
৭৩ বছর বয়সী ফখরুল এর আগেও সিঙ্গাপুরে
চিকিৎসা করিয়েছিলেন।
২০১৫ সালে কারাবন্দি অবস্থায় তার
ঘাড়ের ইন্টারন্যাল ক্যারোটিড আর্টারিতে ব্লক ধরা পড়লে মুক্তির পর সেখানে গিয়ে
চিকিৎসা করান তিনি। এরপর প্রতিবছরই ফলোআপ চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে যেতে হয়।
এবার গিয়েছিলেন গত ৩০ জানুয়ারি। মহাসচিব।
সেখানে ফারার পার্ক হসপিটালে তার চিকিৎসা হয়।
সদ্য প্রয়াত সাংবাদিক সৈয়দ আবুল মকসুদ
ও বাংলাদেশ ব্যংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের মৃত্যুতে শোক
প্রকাশ করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, “সৈয়দ আবুল মকসুদ সাহেব
আমার ব্যক্তিগত বন্ধু ছিলেন। আমি অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছি তার মৃত্যু সংবাদে।
খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ সাহেব নিঃসন্দেহে এই দেশের একজন মানুষ যাকে বলা যেতে পারে
যে, এ ম্যান অব ইন্টেগ্রিটি, ম্যান অব অনেস্টি অ্যান্ড ডিগনেটি। ব্যাংকিং সেক্টারে
তিনি একজন দিকপাল ছিলেন। দুই জনের মৃত্যুতে জাতি দুই জন অত্যন্ত যোগ্য মানুষকে
হারাল।”
জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিলে
সরকারের উদ্যোগের প্রতিবাদও জানান ফখরুল।
তিনি বলেন, “আমি আগে বলেছি, জামুকার
সিদ্ধান্ত কখনোই দেশের মানুষ মেনে নেবে না, এটা গ্রহণযোগ্য হবে না এদেশের মানুষের
কাছে। জিয়াউর রহমানের অবদানকে কেউ খাটো করে দেখাতে চাইলে খাটো করে দেখাতে পারবে
না।
“এই খেতাব তো তিনি অর্জন করে্ছেন। এটা
কারও দয়ায় পাওয়া নয়। যুদ্ধ করেছেন উনি এবং সেটা উনি অর্জন করে্ছেন। সুতরাং আমরা
মনে করি, জিয়াউর রহমানের কোনো রকমের কোনো ক্ষতি তারা করতে পারবে না।”