বুদাপেস্টের পুসকাস
অ্যারেনায় বুধবার রাতে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ২-০ গোলে জিতেছে ইংলিশ দলটি। বের্নার্দো
সিলভা দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান বাড়ান গাব্রিয়েল জেসুস।
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে
এই নিয়ে টানা ১৯ ম্যাচ জিতল ম্যানচেস্টার সিটি।
ম্যাচটি হওয়ার কথা
ছিল মূলত মনশেনগ্লাডবাখের মাঠে। কিন্তু নতুন করে করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবে যুক্তরাজ্যসহ
বেশ কয়েকটি দেশের নাগরিকদের প্রবেশে জার্মানি নিষেধাজ্ঞা জারি করায় ম্যাচটি বুদাপেস্টে
সরিয়ে নেওয়া হয়।
শুরু থেকে বল দখল
ও আক্রমণে আধিপত্য করা সিটি প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের সেভাবে পরীক্ষা নিতে পারছিল না। ২৭তম
মিনিটে রাহিম স্টার্লিং ডি-বক্সে পড়ে গেলে পেনাল্টির আবেদন করে তারা, কিন্তু রেফারির
সাড়া মেলেনি।
এর পরপরই এগিয়ে যায়
গুয়ার্দিওলার দল। জোয়াও কানসেলোর দারুণ ক্রসে ছয় গজ বক্সের মুখে হেডে ঠিকানা খুঁজে
নেন সিলভা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১৩ ম্যাচ পর জালের দেখা পেলেন এই পর্তুগিজ মিডফিল্ডার।
৪৩ বছর পর ইউরোপ
সেরার প্রতিযোগিতার নকআউট পর্বে খেলা মনশেনগ্লাডবাখ প্রথমার্ধে গোলের উদ্দেশে কোনো
শটই নিতে পারেনি। ঘর সামলাতে ব্যতিব্যস্ত বুন্ডেসলিগার দলটির সব খেলোয়াড় অধিকাংশ
সময়ই ছিল নিজেদের সীমানায়।
বিরতির পর বারবার
প্রতি আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করছিল তারা। ৬২তম মিনিটে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল। সতীর্থের
ক্রসে ডি-বক্সে ফরাসি ফরোয়ার্ড আলেসান প্লার ব্যাকহিল ফ্লিকে পোস্টের সামান্য বাইরে
দিয়ে যায় বল।
তিন মিনিট পরই ব্যবধান
দ্বিগুণ করে সিটি। এই গোলেও বড় অবদান কানসেলোর। তার ক্রস দূরের পোস্টে পেয়ে হেডে ছয়
গজ বক্সে বাড়ান সিলভা। বাকিটা সারেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড জেসুস।
দ্বিতীয়ার্ধের যোগ
করা সময়ে দারুণ এক সেভ করে জাল অক্ষত রাখেন সিটির গোলরক্ষক এদেরসন।
আগামী ১৬ মার্চ ম্যানচেস্টার
সিটির মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে হবে ফিরতি লেগ।