ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার সিআইডি ঢাকা মেট্রো পশ্চিমের
একটি দল নিকুঞ্জ-২ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- জহিরুল আলম (৩৫), রবিউল ইসলাম (৩২), জাহাঙ্গীর আলম
(৩৯) এবং উত্তম তালুকদার (৩৮)।
তাদের কাছ থেকে সেনাবাহিনীর মেজর পদবীর র্যাংক ব্যাজ, পোশাক, ফিংগার প্রিন্ট
মেশিন, ভুয়া নিয়োগপত্র, নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প, ভিসা কার্ড, ডেবিট কার্ড, বিভিন্ন
ব্যাংকের চেক বই, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ এবং কয়েকটি ট্রেড লাইসেন্স জব্দ করা হয়।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক শেখ ওমর
ফারুক জানান, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে কোচিং ব্যবসায় জড়িত থাকায় বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার
প্রশ্ন, উত্তরপত্র, প্রবেশপত্র তৈরি ও সরবরাহ করে চাকরিপ্রার্থীদের বিশ্বাস জন্মাতে
সক্ষম হয়।
“এই চক্রের জাহাঙ্গীর আলম বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট।
মেজর পদবীর র্যাংক ব্যাজ পরিধান করে জাহাঙ্গীর চাকরিপ্রার্থীদের সেনাবাহিনীর অফিস
করণিক, মেসওয়েটার, স্টোরম্যান পদে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখায়।
“চাকরির ইন্টারভিউ কার্ড সরবরাহ, রেস্টুরেন্টে সেনাবাহিনীর মেজরের পোশাক
পরে সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ভুয়া রেজাল্ট প্রকাশ করে চাকরির নিয়োগপত্র দেয়। পরবর্তীতে নিয়োগপত্র
নিয়ে চাকরিতে যোগ দিতে গেলে ভুক্তভোগীরা জানতে পারে তাদের নিয়োগপত্র ভুয়া।”
তিনি জানান, চক্রটি ব্যাংকসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামেও
প্রতারণা করে। এভাবে তারা সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করাসহ বিপুল অংকের টাকা আত্মসাৎ
করে আসছিল।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে খিলক্ষেত থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান শেখ ওমর
ফারুক।