বৃহস্পতিবার ঢাকার
একটি হোটেলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফোরজে) প্রকল্পের
আওতায় চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য খাতের জন্য অনুষ্ঠিত ‘লিংকেজ ওয়ার্কশপ অন লেদার সেক্টর’
শীর্ষক কর্মশালায় তিনি একথা বলেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বাণিজ্য সচিব বলেন,
“চামড়া বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় খাত। আমাদের কাঁচামাল ও দক্ষ জনশক্তি রয়েছে। বিভিন্ন
দেশে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে। আমাদের সক্ষমতা পুরোপুরি কাজে লাগাতে
পারলে বছরে ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করা সম্ভব।”
গত তিন বছর ধরে চামড়া
খাত থেকে বছরে পাঁচ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রার কথা সরকারিভাবে
বলা হলেও বাস্তব চিত্র উল্টো। প্রতি বছরই রপ্তানি আয় এক বিলিয়ন ডলারের আশপাশে থাকছে।
শিল্প মালিকরা বলছেন,
কমপ্ল্যায়েন্স ইস্যুতে পিছিয়ে থাকার কারণে ইউরোপের দেশগুলোতে পণ্য রপ্তানি করা যাচ্ছে
না। বিশেষ করে সাভার চামড়া শিল্প নগরীতে সিইটিপি কার্যকর করতে না পারায় রপ্তানির
যোগ্যতা অর্জন করতে পারছে না। এই পরিস্থিতিতে প্রধানত চীননির্ভর এই রপ্তানি শিল্প তাই
লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারছে না।
চলতি অর্থবছরের জানুয়ারি
মাস শেষে প্রায় ৬ শতাংশ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধিতে রয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য। জানুয়ারি
শেষে রপ্তানি হয়েছে মাত্র ৫২ কোটি ডলারের পণ্য। জানুয়ারি মাসে রপ্তানি হয়েছে মাত্র
৮ কোটি ডলার সমমূল্যের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
দেশের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হালকা প্রকৌশল, ফুটওয়্যার এবং প্ল্যাস্টিক খাতের রপ্তানি
বৃদ্ধির জন্য ইসিফোরজে নামক একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
বাণিজ্য সচিব বলেন,
এ শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য কাজ করা হচ্ছে। এসব সেক্টরে
বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং রপ্তানি বাড়বে।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ
উপস্থাপন করেন মমিনুল আহসান। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) এবং ইসিফোরজে প্রকল্পের
প্রকল্প পরিচাল হাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ ফিনিস লেদার, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার
এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন, বাংলাদেশ ট্যানার্স
অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এবং বিজনেস
প্রোমোশন কাউন্সিলের সমন্বয়ক আব্দুর রহিম বক্তব্য রাখেন।