কোম্পানিটি বলেছে, তাতমাদাওকে (মিয়ানমারের সেনাবাহিনী) ফেইসবুক ও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারের সুযোগ দেওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি, এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরপরই তারা নিষেধাজ্ঞার পথে হেঁটেছে।
দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটির সেনাবাহিনী ২০২০ সালের সাধারণ নির্বাচনে জালিয়াতি হওয়ার দাবি জোরাল করতে ফেইসবুককে ব্যবহার করছিল বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
পাঁচ কোটি ৪০ লাখ বাসিন্দার মিয়ানমারে অর্ধেকেরও বেশি মানুষ ফেইসবুক ব্যবহার করে; দেশটির অনেকের কাছেই এ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি ইন্টারনেটের সমার্থক।
১ ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পর সম্প্রতি ফেইসবুক তাদের প্ল্যাটফর্মের নির্দেশনা লংঘনের দায়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মূল পেইজটি মুছে দিয়েছিল।
গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখলের পর দেশটির সেনাবাহিনী বিক্ষোভকারীদের আটক করার পাশাপাশি ইন্টারনেট বন্ধ এবং ফেইসবুকসহ বেশকিছু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধে নির্দেশ দিয়েছিল।
বুধবার রাতে ফেইসবুক এক বিবৃতিতে জানায়, ১ ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পর রক্তাক্ত সহিংসতাসহ যেসব ঘটনা ঘটেছে তাতে তারা তাদের প্ল্যাটফর্মে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে নিষিদ্ধ করার ‘প্রয়োজনীয়তা দেখছে’।
দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটিতে কয়েক সপ্তাহের টানা অভ্যুত্থানবিরোধী প্রতিবাদে এখন পর্যন্ত তিন বিক্ষোভকারী ও এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
বিবৃতিতে ফেইসবুক তাদের প্ল্যাটফর্মে তাতমাদাও সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনও নিষিদ্ধ করেছে। নিষেধাজ্ঞা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হচ্ছে এবং এর মেয়াদ থাকবে ‘অনির্দিষ্টকাল’, বলেছে তারা।
তবে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতো মিয়ানমারের যেসব মন্ত্রণালয় ও সংস্থা জনসেবামূলক কার্যক্রমে জড়িত সেগুলো এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে বলে জানিয়েছে তারা।