তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে ভৈরব রেলওয়ে থানার ওসি ফেরদৌস আহমেদ জানিয়েছেন।
ওই নারী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার চান্দুপুর গ্রামের লিমন
মিয়ার স্ত্রী বলে তার ছয় বছরের ছেলের বরাতে জানিয়েছে পুলিশ।
ওসি ফেরদৌস স্থানীয়দের বরাতে বলেন, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী মহানগর এক্সপ্রেস
বুধবার রাত পৌনে ৯টায় ভৈরব স্টেশনে থামলে ওই নারী ট্রেনে ওঠেন। তিনি ভেতরে পৌঁছানোর আগেই ট্রেনটি ছেড়ে দেয়। তার হাতে ছিল একটি ব্যাগ। ট্রেনটি আনুমানিক ১০০ গজ সামনে যেতেই এক ছিনতাইকারী ব্যাগ ধরে হ্যাঁকা টান দেয়। তাতে ওই নারী চলন্ত ট্রেন থেকে ছিটকে লাইনের পাশে পড়েন।
প্রথমে তাকে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে, সেখান থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে জানান ওসি ফেরদৌস।
তিনি বলেন, আহত নারীর বয়স আনুমানিক ৪০ বছর। তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
তার সঙ্গে ছয় বছরের একটি ছেলে ছিল জানিয়ে ওসি বলেন, ছেলেটি ট্রেনের ভেতরে থাকায় সে মাকে ছাড়াই ঢাকায় চলে যায়। শিশুটিকে বিমানবন্দর রেলওয়ে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। শিশুটি জানিয়েছে তার নাম মেরাজ। বাবা মিলন মিয়া। বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার চান্দুপুর গ্রামে। শিশুটি মায়ের নাম বলতে পারেনি।
ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আবদল্লাহ আল নোমান ভূঁইয়া বলেন, ওই নারী মাথায় আঘাত পেয়েছেন। ভেতরে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তিনি বমিও করেছেন। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।