দেহে শর্করার চাহিদা হওয়া খুবই স্বাভাবিক।
মস্তিষ্কের জ্বালানি শর্করা। আর মিষ্টি-জাতীয় খাবারকে মস্তিষ্ক পুরষ্কার হিসেবে গণ্য
করে। তাই দেহে শর্করার চাহিদা হলে মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছেকে সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না।
তবে অতিরিক্ত শর্করা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
তাই চিনি-যুক্ত খাবারের চাইতে শর্করার
চাহিদা মেটায় এরকম খাবার খাওয়া উপকারী।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত
প্রতিবেদন অবলম্বনে চিনির প্রাকৃতিক কয়েকটি বিকল্প সম্পর্কে জানানো হল।
কাঠ-বাদাম:
পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ ও মজাদার। তাই স্বাস্থ্যকর নাস্তা হিসেবে এটা উপকারী। কাঠবাদাম
নিম্ন ‘গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স’ সমৃদ্ধ ও পুষ্টি উপাদান যেমন- আঁশ, ভালো চর্বি, ভিটামিন
ই এবং খনিজ যেমন- ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম সমৃদ্ধ। আরও রয়েছে ভিটামিন ই (আলফা-টোকোফেরল)
যা ‘অ্যান্টি-এইজিং’ উপাদান হিসেবে কাজ করে।
যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব লিডস’য়ের
করা এক গবেষণা থেকে ওজন নিয়ন্ত্রণে কাঠবাদামের ইতিবাচক ভূমিকা সম্পর্কে জানা যায়। এটা
ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক। তাই, নাস্তা হিসেবে কাঠবাদাম খাওয়া অতিরিক্ত ও অস্বাস্থ্যকর
খাবার খাওয়ার ঝুঁকি কমায়।
কাঠবাদাম উচ্চ চর্বিবহুল হওয়ায় ওজন নিয়ন্ত্রণে
রাখতে যে কেউ তা খাবার তালিকায় যোগ করতে পারেন।
বেরি: উচ্চ
আঁশ সমৃদ্ধ ও কম শর্করাযুক্ত। বেরির ধরণ অনুযায়ী এতে ৫০ থেকে ৮৫ ক্যালরির থাকে। এটা
কম ক্যালরিযুক্ত ও বেশি পুষ্টি সমৃদ্ধ। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন ও খনিজ। সকালের নাস্তায়
দই বা কটেজ পনিরের সঙ্গে বেরি যোগ করে খাওয়া যায়। এই ফল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভালো
উৎস যা দিনের শুরুতে খুব ভালো কাজ করে।
কলা: কলা ভিটামিন
বি৬, ভিটামিন সি, খাদ্য আঁশ ও পটাশিয়াম সমৃদ্ধ। উচ্চ পটাশিয়াম ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য
বজায় রাখতে সহায়ক। এই ফল চর্বি, কোলেস্টেরল ও সোডিয়াম মুক্ত। এতে সামান্য পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম-ও
থাকে।
কলা মিষ্টি হলেও এটা প্রাকৃতিক শর্করা
সমৃদ্ধ যা স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসে অন্তর্ভুক্ত করা যায়।
কলা সকল বয়সের মানুষের জন্য উপকারী।
আরও পড়ুন