বৃহস্পতিবার বিরল এক যৌথ বিবৃতিতে দেশ দু’টির সামরিক বাহিনী একথা জানিয়েছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এ দুই বাহিনী কাশ্মীর সীমান্ত বরাবর কয়েকশতবার গোলাগুলি বিনিময় করেছে, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এর আগে ২০০৩ সালে পারমাণবিক শক্তিধর এ দুটি প্রতিবেশী দেশ কাশ্মীর অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ রেখা (লাইন অব কট্রোল বা এলওসি) বরাবর গোলাগুলি বন্ধ করতে অস্ত্রবিরতির চুক্তি করেছিল, কিন্তু গত কয়েক বছরে ওই চুক্তি গোলার ধোঁয়ার আড়ালে চাপা পড়ে আর দুই পাশের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে।
এবারের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “উভয় পক্ষ ২৪/২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যরাত, ২০২১ থেকে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ও অন্যান্য সব সেক্টরে সব চুক্তি কঠোরভাবে পালন করা, অস্ত্রবিরতি এবং পারস্পরিক বোঝাপড়া কার্যকর করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে।”
দুই দেশের সেনাবাহিনীর সামরিক অভিযান বিষয়ক মহাপরিচালকরা অস্ত্রবিরতিতে ফিরে আসার এই ব্যবস্থা করেছেন।
“সীমান্ত বরাবর স্থায়ী শান্তি ও পারস্পরিক কল্যাণ অর্জনের স্বার্থে দুই ডিজিএসএমও একে অপরের মূল সমস্যা ও উদ্বেগগুলো চিহ্নিত করতে সম্মত হয়েছেন যা শান্তি বিঘ্নিত করে সহিংসতার দিকে ঠেলে দিতে পারে,” বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২০১৪ সাল থেকে অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায় ফলে প্রায় ৩০০ বেসামরিক হতাহত হন।
“চলতি বছরের মাত্র দুই মাসে ২৫৩ বার অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে, তাতে আট বেসামরিক আহত হয়েছেন,” বলেন তিনি।
চলতি বছরের শুরু থেকে পাকিস্তান ৫৯১ বার অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করেছে বলে ভারতের হিসাব।